মোহনবাগানের খেলোয়াড়দের উচ্ছ্বাস। ছবি: সমাজমাধ্যম।
কলকাতা ডার্বি শুরু হওয়ার আগেই বেঙ্গালুরুর হারে হাসি ফুটেছিল মোহনবাগান সমর্থকদের মনে। সেই হাসি আরও চওড়া হল ডার্বি জিতে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বেঙ্গালুরুর থেকে আট পয়েন্টে এগিয়ে গেল মোহনবাগান। আইএসএলে খেলা ডার্বিতে এই প্রথম ১-০ গোলে জিতল মোহনবাগান। জিতে খুশি হলেও দলের খেলায় পুরোপুরি খুশি নন মোহনবাগানের কোচ হোসে মোলিনা। তাঁর মতে, আরও বেশি গোলে জেতা উচিত ছিল। আরও বেশি ম্যাচ শাসন করা উচিত ছিল।
শনিবার ম্যাচের পর মোলিনা বলেছেন, “আমি দলের খেলায় খুশি। পয়েন্ট তালিকা দেখেও স্বস্তিতে রয়েছি। তবে আমরা আরও ভাল খেলতে পারতাম। মাঠে যখন আমাদের একজন ফুটবলার বেশি রয়েছে, তখন ঠান্ডা মাথায় সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আরও বেশি গোল করা উচিত ছিল। অনেক কষ্ট করে ম্যাচটা জিততে হয়েছে। তবে ম্যাচটা জিতে খুশি। প্রত্যেকে ভাল খেলেছে। তবে আমাদের কাছে লিগ এখনও শেষ হয়নি। অনেক কাজ বাকি রয়েছে।”
চলতি মরসুমে এটাকে সেরা ম্যাচ মানতে রাজি নন মোলিনা। তাঁর মতে, প্রতি দিন যে ভাবে ফুটবল বদলাচ্ছে তাতে সেরা ম্যাচ বেছে নেওয়া কঠিন। মোহনবাগানের কোচ বলেছেন, “সেরা ম্যাচ কি না জানি না। সব দলই প্রতি দিন কৌশল বদলাচ্ছে। কেরল, পঞ্জাব সবাই নতুন ভাবে খেলছে। রক্ষণে লোক বাড়াচ্ছে। তাতেও আজ ম্যাচটা অনেকটা সময় আমরা শাসন করেছি। প্রথমার্ধে এমন দুটো সুযোগ পেয়েছিলাম যেগুলো থেকে অবশ্যই গোল করা উচিত ছিল। সমর্থকদের জন্য খুশি। ওরা নিশ্চয়ই কলকাতায় এখন উৎসব করছেন।”
গ্রেগ স্টুয়ার্ট এ দিন দ্বিতীয়ার্ধে নেমে ভাল খেলেছেন। পরিবর্ত হিসাবে নেমেছেন দিমিত্রি পেত্রাতোসও। মোহনবাগান কোচকে পরের ম্যাচে দল বাছতে গেলে কি চিন্তায় পড়তে হবে? প্রশ্ন শুনেই মোলিনার মুখে হাসি। বললেন, “দলে একাধিক খেলোয়াড় হলে সমস্যা কোথায়। সব ফুটবলারই জানে কোচকে একটা না একটা সিদ্ধান্ত নিতেই হয়। ১১ জনের বেশি বা চার বিদেশির বেশি তো মাঠে খেলতে পারবে না। তাতে কারও কোনও অভিযোগ নেই। প্রত্যেকে নিজেদের ভূমিকা পালন করার চেষ্টা করছে। যারা প্রথম একাদশে খেলার সুযোগ পাচ্ছে না, তারা পরের দিকে নেমে দলের জয়ে অবদান রাখছে।”
পরিবর্ত ফুটবলারদেরও প্রশংসা করেছেন মোলিনা। বলেছেন, “আমি চেষ্টা করি দলের খেলোয়াড়েরা যাতে প্রতি দিন উন্নতি করতে পারে। আমার মনে হয় দলের খেলোয়াড়েরা একে অপরকে সমীহ করে। কাউকে তো অপেক্ষা করতেই হবে রিজ়ার্ভ বেঞ্চ। দীপক টাংরি, অভিষেক সূর্যবংশী, দীপেন্দু বিশ্বাস প্রত্যেকে ভাল ফুটবলার। ওরা জানে আমি ওদের উপর বিশ্বাস রাখি। তাই মাঠে নামলে ওরা নিজেদের সেরাটা দেয়।”