প্রতীকী ছবি।
চলতি বছর থেকে স্কুলগুলিকে সিলেবাস মেনেই প্রশ্ন করতে হবে। কড়া নির্দেশ জারি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের। এপ্রিল মাস থেকে শুরু হচ্ছে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির সামেটিভ পরীক্ষা। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, পর্ষদ এই পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে কোনও বিতর্ক চায় না বলেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিগত বছরে দেখা গিয়েছে, স্কুলের প্রশ্নপত্র হোক বা টেস্টের প্রশ্নপত্র, সিলেবাসের বাইরে থেকে অনেক প্রশ্নই থাকে। যার ফলে সমস্যায় পড়তে হয়ে মূলত পড়ুয়াদের। এবং এই প্রশ্নের জন্য অনেক সময়ই বিতর্কের সম্মুখীন হতে হয় পর্ষদকে। এ বার সেই সমস্ত বিষয়ের যাতে পুনরাবৃত্তি না হয়, তার জন্যই এমন সিদ্ধান্ত পর্ষদের।
পর্ষদ সুত্রের খবর, মূলত শিক্ষার্থীদের স্বার্থে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরীক্ষার সময় যাতে তাদের কোনও সমস্যায় পড়তে না হয় তাই এই নির্দেশ জারি স্কুলগুলিকে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির সামেটিভ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র শুধুমাত্র বিষয় ভিত্তিক শিক্ষক/ শিক্ষিকারাই করতে পারবেন। অন্য কোনও রকম শিক্ষক সংগঠন বা এজেন্সির সাহায্য নিয়ে নয়। পাশাপাশি, একাধিক স্কুল মিলিত ভাবে কোনও প্রশ্ন করতে পারবে না। সুত্রের খবর, বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠন নিজেদের মতন করে প্রশ্নপত্র তৈরি করে স্কুলকে বিক্রি করে। যার ফলে পরবর্তীতে নানা ভুল ভ্রান্তি দেখা দেয় প্রশ্নপত্রে, এবং বিতর্কের সম্মুখীন হতে হয় স্কুলগুলি ও পর্ষদকে। এই পরিস্থিতি পর্ষদের নজরে আসার পর এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রতিটি স্কুলে সমান মানে পড়াশোনা হয় না। বিভিন্ন স্কুলে বিভিন্ন মানের পড়ুয়া থাকে। পর্ষদের মূল উদ্দেশ্য, স্কুলের বিষয় ভিত্তিক শিক্ষকরা প্রশ্ন করলে অহেতুক বিতর্ক তৈরি হবে না। প্রশ্নকে ঘিরে যার ফলে বিড়ম্বনায় পড়তে হবে না পর্ষদকে।
এই বিষয়ে বঙ্গীয় শিক্ষক এবং শিক্ষা কর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক, স্বপন মণ্ডল বলেছেন, ‘‘মধ্যশিক্ষা পর্ষদের যে বই রয়েছে, সেখানেই বহু বিতর্কিত বিষয় পড়ানো হয় ছাত্র ছাত্রীদের। প্রধানশিক্ষকদের এই ধরনের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সতর্ক করার আগে যে সমস্ত বিষয় থেকে রাজনৈতিক বিতর্ক তৈরি হয় শিক্ষা ক্ষেত্রে, তা সিলেবাস থেকে বাদ দেওয়া উচিত পর্ষদের।’’
প্রসঙ্গত, গত বছর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের টেস্টের পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র নিয়ে অনেক বিতর্ক দেখা দিয়েছিল। তা নিয়ে একাধিক প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছিল পর্ষদকে।
যাদবপুর বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক পার্থ প্রতিম বৈদ্য বলেছেন, ‘‘এজেন্সি বা সংগঠনের প্রশ্ন নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে স্কুল স্তরে। এই বিতর্ক এড়াতেই এমন বিজ্ঞপ্তি পর্ষদের। এই নির্দেশ মান্যতা পেলে স্কুলগুলির মান যাচাই ও পড়াশোনা বজায় থাকবে।”