সংগৃহীত চিত্র।
রাজ্যের ১০০০টি স্কুলে সৌর প্যানেল বসানোর সিদ্ধান্ত নিল স্কুলশিক্ষা দফতর। কলকাতার ৪৫টি এবং দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় ৮৮টি স্কুল রয়েছে এই প্রকল্পের আওতায়।
বিকল্প শক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে রাজ্য সরকার বেশ কয়েক বছর আগে রাজ্যের স্কুলগুলিতে বিদ্যুৎ বিল কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। ইতিমধ্যে কয়েক হাজার স্কুলে এই প্যানেল বসানোর কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর।
কোন কোন স্কুলে এই প্যানেল বসানো যাবে তার তথ্য চলতি সপ্তাহের মধ্যে জেলা পরিদর্শকদের জমা দিতে হবে। পাশাপাশি এখনও পর্যন্ত পরিকাঠামো থাকা সত্ত্বেও কোন কোন স্কুলে তা বসানো হয়নি সেই তালিকাও চেয়েছে শিক্ষা দফতর। নির্বাচিত স্কুলগুলির মাসিক বিদ্যুৎ বিলের খরচ কত, জানাতে হবে তা-ও।
বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, “বিদ্যুতের দাম এবং স্কুল পরিচালনার ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ায় স্কুলগুলির নাভিশ্বাস উঠছে। সরকার কম্পোজিট গ্র্যান্টের টাকা দিচ্ছে না। তার মধ্যে যদি স্কুলগুলিতে সৌর প্যানেল বসানো যায়, ভাল। তবে দেখতে হবে স্কুল নির্বাচনে যেন পক্ষপাতিত্ব না হয়। গত বছরও এরকম তালিকা চেয়ে পাঠানো হয়েছিল। সেগুলির কী হল এখনও কেউ জানতে পারল না।”
শিক্ষা দফতরের তরফে জেলাভিত্তিক লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। তালিকার শীর্ষে উত্তর ২৪ পরগনা। ওই জেলার ১০৩টি স্কুলকে বেছে নেওয়া হয়েছে। তার পরই রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা। সেই জেলার ৪৪টি স্কুলের নাম রয়েছে তালিকায়। পূর্ব মেদনীপুরের ৭৫, পশ্চিম মেদিনীপুরের ৭২, হুগলির ৬৮, কলকাতার ৪৫টি স্কুলে সৌর প্যানেল বসানো হবে।
তবে তার জন্য স্কুলগুলিকে বেশকিছু শর্ত মানতে হবে। তার মধ্যে অন্যতম, হাজার বর্গফুটে ছায়া মুক্ত ছাদ থাকতে হবে। দক্ষিণ দিকে কোনও উঁচু ভবন বা গাছ যাতে না থাকে, তা নিশ্চিত করতে হবে। সৌর প্যানেলগুলি পরিষ্কারের জন্য পর্যাপ্ত জলের ব্যবস্থা রাখতে হবে। এ ছাড়াও ঢালাই করা ছাদ এবং শক্তপোক্ত সিঁড়ি বাধ্যতামূলক।
প্রধান শিক্ষক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক চন্দন মাইতি বলেন, “প্রকল্পটি বহু দিনের হলেও এখনও পর্যন্ত মাত্র ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সৌর প্যানেলগুলি পাঁচ বছর রক্ষণাবেক্ষণ করবে সরকার। তার পর স্কুলগুলির ঘাড়ে বিপুল বোঝা চাপবে। এই দিকে সরকারের বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া উচিত।”