সংগৃহীত চিত্র।
স্পেশ্যাল এডুকেটর বা বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের জন্য শিক্ষক নিয়োগ এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। বছরের শুরুতেই ২৫০০ শূন্যপদে নিয়োগ হতে চলেছে।
বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের জন্য শিক্ষক নিয়োগে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই মন্ত্রিসভার বৈঠকে স্কুল সার্ভিস কমিশন আইন সংশোধনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল স্কুল সার্ভিস কমিশন (রিক্রুটমেন্ট অফ পার্সনস ফর অ্যাপয়েন্টমেন্ট টু দ্য পোস্ট অফ স্পেশ্যাল এডুকেশন টিচার্স) রুলস, ২০২৪’ শীর্ষক সংশোধিত আইন আসছে। খবর, এরই মাঝে মন্ত্রিসভায় এই নিয়োগের বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছে রাজ্য সরকার।
এসএসসি (স্কুল সার্ভিস কমিশন)-র এক আধিকারিক জানান, মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পর গেজেট নোটিফিকেশন না-হওয়া পর্যন্ত নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা যাবে না। যত দ্রুত গেজেট নোটিফকেশন বার হবে, তত তাড়াতাড়ি নিয়োগের কাজ এগোবে।
উল্লেখ্য, প্রাথমিক স্তরে সার্কলভিত্তিক প্রায় ১১০০ জন স্পেশ্যাল এডুকেটর চুক্তিতে নিযুক্ত রয়েছেন বর্তমানে। এই সমস্ত শিক্ষককে পৃথক ভাবে স্থায়ীকরণের জন্য আইন সংশোধনের প্রয়োজন ছিল। এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশও রয়েছে।
স্পেশ্যাল এডুকেটর হওয়ার জন্য রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া ( আরএসআই) অনুমোদিত কেন্দ্রীয় সংস্থা থেকে স্পেশ্যাল বিএড অথবা ডিএলএড ডিগ্রি বাধ্যতামূলক। তবে এত দিন পর্যন্ত এই স্পেশ্যাল ডিগ্রি পাওয়া শিক্ষকেরা সাধারণ শিক্ষকের মতোই নিযুক্ত হতেন। বর্তমানে স্পেশ্যাল বিএড বা ডিএলএড-সহ সহকারী শিক্ষক হিসাবে ৩৯১ জন রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
শীর্ষ আদালত এই সংক্রান্ত একটি মামলায় আগেই জানিয়েছিল, চারটি স্কুল পিছু এক জন করে স্পেশ্যাল এডুকেটর নিয়োগ করতে হবে রাজ্যকে। সে ক্ষেত্রে সংখ্যাটি ২০ হাজারের বেশি হবে। পরবর্তী কালে তা স্কুল পিছু এক জন করে করতে হবে। নিয়ম অনুযায়ী, ১০ জন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুর জন্য এক জন এবং উঁচু ক্লাসে ১৫ জন শিশুর জন্য এক জন স্পেশ্যাল এডুকেটর রাখতে হয়।