পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। নিজস্ব চিত্র।
প্রাথমিকের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেয় রাজ্যের সরকারি এবং বেসরকারি ডিএলএড শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি। এ বার ওই প্রতিষ্ঠানগুলির অনুমোদনের ফি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। একই সঙ্গে পুনর্নবীকরণের ফিও বৃদ্ধি করা হয়েছে। এ ছাড়াও চলতি বছর থেকেই অনলাইনে এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার উপর জোর দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের এক আধিকারিক জানান, যে সমস্ত কলেজে ডিপ্লোমা ইন এলিমেন্টারি এডুকেশন (ডিএলএড) কোর্স করানো হয়, আসন সংখ্যার নিরিখে ওই কলেজগুলিকে পর্ষদকে অনুমোদন বা পুনর্নবীকরণের ফি দিতে হয়। এই প্রক্রিয়া প্রতি দু’বছর অন্তর হয়ে থাকে।
প্রসঙ্গত, ডিপ্লোমা ইন এলিমেন্টারি এডুকেশন (ডিএলএড) কোর্স করানোর জন্য ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন (এনসিটিই) থেকে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট (এনওসি) অর্জন করতে হয়। এর পর অনুমোদনের জন্য পর্ষদের কাছে একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের ফি জমা দিতে হয়। তারপরই সেই কলেজগুলি ডিএলএড কোর্স করানোর অনুমতি পায়।
পর্ষদের প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী, ৫০টি আসন যুক্ত কলেজগুলিকে ৫০ হাজার টাকা, ১০০টি আসনের ক্ষেত্রে এক লক্ষ টাকা এবং ১৫০টি আসনের জন্য এক লক্ষ ৫০ হাজার টাকা অনুমোদন বা পুনর্নবীকরণের ফি হিসাবে জমা দিতে হবে।
এর আগে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে অনুমোদন এবং পুনর্নবীকরণের আগে রাজ্যের ডিএলএড শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে পরিদর্শন করা হয়েছিল। ২৫ নভেম্বর থেকে রাজ্যের সব ডিএলএড শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনুমোদন পুনর্নবীকরণ প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।
সূত্র, পরিদর্শনের সময় যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিকাঠামোগত সমস্যা রয়েছে, তা দ্রুত সমাধানের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। শিক্ষকের অভাব মেটাতে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ এবং নিয়মিত ক্লাস ও পড়ুয়াদের উপস্থিতির উপর জোর দিতেও বলা হয়েছিল। ডিএলএড শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির মান ও পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনও আপস নয় বলে এর আগেই স্পষ্ট করেছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এ বার অনুমোদন বা পুনর্নবীকরণের প্রক্রিয়া নিয়েও বিশেষ নির্দেশিকা জারি করা হল।