প্রতীকী চিত্র।
তাপপ্রবাহের জের, রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলিতে গরমের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার এই মর্মে রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফে একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে। যদিও রাজ্যের বেসরকারি স্কুলগুলি এখনই ছুটির পথে না হেঁটে ‘ধীরে চলো’ নীতি গ্রহণ করেছে।
এই প্রসঙ্গে, সেন্ট জুডস হাই স্কুলের প্রিন্সিপল অদিতি চক্রবর্তী বলেন, “আমাদের ছুটির ক্যালেন্ডার ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়ে গিয়েছে। এ বার সরকারি নির্দেশিকা প্রকাশিত হওয়ায় পড়ুয়াদের স্বার্থে ক্লাসের সময় পরিবর্তন করার বিষয়টি বিবেচনা করে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনে অনলাইনেও ক্লাস করানো হবে। কিন্তু গরমের ছুটি ১৩ মে থেকেই শুরু হবে।”
একই পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ন্যাশনাল হাইস্কুল। স্কুলের তরফে প্রিন্সিপল উমা ভেঙ্কটরমন জানিয়েছেন, অনলাইনে কিছু ক্লাসের পঠনপাঠন চলবে। বাকি ক্লাসের সময় বদলে দেওয়া হবে। তবে, ৮ মে থেকে স্কুল ক্যালেন্ডার অনুযায়ী গরমের ছুটি শুরু হবে।
যদিও বেশ কিছু বেসরকারি স্কুল নিজেদের ক্যালেন্ডার অনুযায়ী চলার সিদ্ধান্ত নিলেও, রামমোহন মিশন স্কুলের প্রিন্সিপল সুজয় বিশ্বাস বলেন, “পড়ুয়াদের স্বার্থে সরকার ছুটি ঘোষণা করেছে। তাই স্কুলের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করে ছুটি দেওয়ার বিষয়ে দ্রুতই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
তবে বেশ কিছু বেসরকারি স্কুলের তরফে জানানো হয়েছে, ছুটি কবে থেকে শুরু হবে, কিংবা ক্লাস কী ভাবে নেওয়া হবে, সেই বিষয়ে সকলের সঙ্গে বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
সরকারি স্কুলগুলিতে নিয়মমাফিক ছুটির দিন এগিয়ে আনা হলেও, বেসরকারি স্কুলের একাংশ এখনও সেই পথে হাঁটতে চাইছে না। আর এই ছুটির সময়ের হেরফেরের কারণে শিক্ষাদান এবং পাঠগ্রহণের মধ্যে যে সময়সীমার বিভেদ তৈরি হচ্ছে, তাতেই সঠিক মূল্যায়ণের সম্ভাবনার প্রশ্ন উঠছে শিক্ষামহলে।