WB Centralised Admission

স্নাতক স্তরে প্রথম রাউন্ডে ভর্তি হল না ১৩ হাজারেরও বেশি পড়ুয়া

৪ লক্ষ ৯ হাজার ৪৬৪ জন ছাত্রছাত্রী প্রথম পর্বে নিজেদের পছন্দসই কলেজ ও বিষয়ে নাম নথিভুক্ত করে। যার মধ্যে প্রায় ১৩ হাজার ৫০০ পড়ুয়া অনুপস্থিত থাকে সশরীরে নথি যাচাইয়ের প্রক্রিয়ায়।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৩ অগস্ট ২০২৪ ০৭:৫২

সংগৃহীত চিত্র।

কেন্দ্রীয় ভাবে ভর্তি প্রক্রিয়ায় প্রথম রাউন্ডের পর স্নাতক স্তরে ভর্তি হল না ১৩ হাজারেরও বেশি পড়ুয়া। প্রথম দফায় সশরীরে উপস্থিত হয়ে, নথি যাচাইয়ের পরে ক্লাস শুরু করেছে ৩ লক্ষ ৮৭ হাজার ৪৬৪ পড়ুয়া।

Advertisement

উচ্চশিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, মোট ৪ লক্ষ ৯ হাজার ৪৬৪ জন ছাত্রছাত্রী প্রথম পর্বে নিজেদের পছন্দসই কলেজ ও বিষয়ে নাম নথিভুক্ত করে। যার মধ্যে প্রায় ১৩ হাজার ৫০০ পড়ুয়া সশরীরে উপস্থিত হয়ে নথি যাচাইয়ে উপস্থিত ছিল। পাশাপাশি দ্বিতীয় রাউন্ডের আবেদন নেওয়াও শুরু হয়েছে অনলাইনের মাধ্যমে। সেখানে সোমবার বিকেল পর্যন্ত গত চার দিনে নতুন আবেদন করেছে প্রায় ২০ হাজারের কাছাকাছি ছাত্রছাত্রী।

স্নাতক স্তরে ভর্তির ক্ষেত্রে মোট আসন রয়েছে ৯ লক্ষ ৪৭ হাজারের মতো। এর মধ্যে প্রথম রাউন্ডে যে তালিকা প্রকাশ করা হয়, তা ৫ লক্ষ আসনের উপর। এর মধ্যে ২৭ শতাংশ আসন ফাঁকা থেকে যায়, যা সংখ্যার নিরিখে প্রায় এক লক্ষ পঁচিশ হাজার মতো।

প্রথম রাউন্ডে ভর্তি না হওয়ার ফলে ভর্তি প্রক্রিয়া বাতিল হয়েছে প্রায় ১৩ হাজার ৫০০ জনের। উচ্চশিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, কী কারণে তারা সশরীরে উপস্থিত হল না, কলেজের অধ্যক্ষরা তা খতিয়ে দেখে একটি রিপোর্টও জমা দেবে। দ্বিতীয় রাউন্ডে প্রক্রিয়া শেষ হ‌ওয়ার পরে স্পষ্ট হবে, কত জন পড়ুয়া উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পরে উচ্চশিক্ষার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে, আর কত জন ইঞ্জিনিয়ারিং বা অন্য কোন‌ও কর্মমুখী কোর্সে ভর্তি হচ্ছে।

চলতি মাসের ৮ তারিখ থেকে দ্বিতীয় রাউন্ডের আবেদন গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সেখানে নতুন পড়ুয়া আবেদন করেছে ২০ হাজার মতো। আবেদন গ্রহণের সময়সীমা ধার্য করা হয়েছে ১৭ অগস্ট পর্যন্ত।

উচ্চশিক্ষা দফতরের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, প্রথম রাউন্ডে দেখা গিয়েছে, নতুন জিনিস বোঝার ক্ষেত্রে হয়তো কিছু সমস্যা ছিল পড়ুয়াদের। বিষয়ভিত্তিক আবেদন এবং কলেজ বাছাই গড়ে কম হচ্ছিল। যা দ্বিতীয় রাউন্ডের ক্ষেত্রে অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রসঙ্গত, প্রথম রাউন্ডে আবেদনকারী ছাত্রীর সংখ্যা ছিল ৬৯ শতাংশ ও ছাত্রদের আবেদনের সংখ্যা ছিল ৪১ শতাংশ। ‌ যার মধ্যে সাধারণ বা জেনারেল ক্যান্ডিডেট ৪৮.৪ শতাংশ, তফশিলি জাতি ২৬.৩ শতাংশ, তফশিলি উপজাতি ৪ শতাংশ। এ ছাড়া ওবিসি-এ ১০ শতাংশ, ওবিসি-বি, ১১.৩ শতাংশ। শারীরিক ভাবে প্রতিবন্ধী ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ০.১২ শতাংশ।

Advertisement
আরও পড়ুন