প্রতীকী চিত্র।
পরীক্ষার খুব বেশি দিন বাকি নেই। শেষ মুহূর্তের জন্য শিক্ষার্থীরা জোর কদমে প্রস্তুতি নিতে শুরু করে ফেলেছে। কিন্তু স্কুলজীবনের শেষ পরীক্ষা হিসাবে উচ্চ মাধ্যমিক নিয়ে বহু পরীক্ষার্থীদের মনেই কিছুটা ভয় কাজ করে। সেই ভয় কাটিয়ে ভাল ফলাফল করার জন্য সার্বিক ভাবে প্রস্তুতি নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। সেই প্রস্তুতি কী ভাবে নেওয়া যেতে পারে, সেই বিষয়ে রইল বিশেষ পরামর্শ।
উচ্চ মাধ্যমিকে একাধিক বিষয়ের ক্ষেত্রে ব্যাখ্যামূলক প্রশ্ন থাকে। সে ক্ষেত্রে কম সময়ে সঠিক উত্তর লিখে সম্পূর্ণ করার চাপও অনেকটাই বেশি থাকে। সেই চাপের কারণে যাতে প্রশ্নের উত্তর অসম্পূর্ণ না থেকে যায়, তাই লেখা অভ্যাস করতে হবে। একটি বিষয়ের বিভিন্ন অধ্যায় থেকে কী ধরনের প্রশ্ন আসতে পারে, তা পাঠ্যবইয়ের নম্বর বিভাজনের তালিকা থেকে দেখে নিয়ে নিয়মিত সেই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর লিখতে হবে। কতটা সময়ের মধ্যে সেই লেখা সম্পূর্ণ করা সম্ভব হচ্ছে, সেটা চিহ্নিত করে ফেলতে পারলে, পরীক্ষার সময়ে অতিরিক্ত চাপ থেকে মুক্তি মেলা সম্ভব।
শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পরীক্ষার খাতা যেন পরিষ্কার থাকে। ভাল নম্বর পাওয়ার জন্য এই বিষয়টি মাথায় রাখতেই হবে। কলা শাখার প্রশ্নের উত্তরপত্রের ক্ষেত্রে নীলের পাশাপাশি, কালো কালির পেন ব্যবহার, বিজ্ঞান শাখার প্রশ্নের উত্তরপত্রের ক্ষেত্রে পরিচ্ছন্ন মার্জিন রাখা এবং বাণিজ্য শাখার প্রশ্নের উত্তরপত্রে ধাপ ধাপে উত্তর লেখা প্রয়োজন। তবে, সব বিষয়ের ক্ষেত্রে উত্তরপত্রে প্রশ্নের সঠিক ক্রমিক নম্বর পরিষ্কার করে লেখা বাধ্যতামূলক। উত্তরপত্র দৃষ্টিনন্দন হলে তবেই পরীক্ষকরা খুঁটিয়ে খাতা দেখার আগ্রহ পাবেন।
পরীক্ষার কয়েক দিন আগে টেস্ট পেপারের নমুনা প্রশ্নপত্র সলভ করে ফেলতে হবে। কারণ এই নমুনা প্রশ্নপত্রে বিভিন্ন অধ্যায় থেকে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন থাকে। সুতরাং, এই প্রশ্নপত্রগুলির উত্তর লেখার অভ্যাস করতে পারলে শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারবেন, প্রতিটি অধ্যায়ের কোন কোন বিষয়গুলি আরও এক বার পড়ার প্রয়োজন রয়েছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন অধ্যায় থেকে সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন কত নম্বরের প্রশ্ন আসছে, সেই সম্পর্কেও পরীক্ষার্থীদের ধারণা স্পষ্ট হবে।
উপরের বিষয়গুলি মাথায় রাখলে পরীক্ষার প্রস্তুতি আরও বেশি সহজ হয়ে উঠবে। এ ছাড়াও পরীক্ষার আগে কিংবা পরীক্ষার দিন সুষম খাদ্য গ্রহণ, পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমোনো এবং সঠিক সময়ে পড়তে বসার অভ্যাস করতে হবে। রাত জেগে পড়াশোনার অভ্যাস না থাকলে, শুধু মাত্র পরীক্ষার ভয়ে সেই অভ্যাস তৈরি করার কোনও প্রয়োজন নেই। ভাল ভাবে পাঠ্যবই খুঁটিয়ে পড়লেই পরীক্ষার সময় প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেওয়া সম্ভব। তাই সেই অভ্যাস ভুলে গেলে চলবে না।