জয়েন্ট পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষকের পরামর্শ। প্রতীকী ছবি।
হাতে আর একদমই সময় নেই বললেই চলে। কারণ, সামনেই জয়েন্ট এন্ট্রাস এগ্জাম (জেইই) মেন-এর দ্বিতীয় পর্বের পরীক্ষা। উত্তীর্ণ হতে পারলে ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার পথে এক ধাপ আরও এগোনো যাবে।
আগামী ৬ এপ্রিল থেকে শুরু হতে চলেছে পরীক্ষা। শেষ মুহূর্তে বিশেষ কোন দিকগুলির প্রতি নজর দেওয়া প্রয়োজন সেই সব বিষয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন সল্টলেকের টেকনো মেন-এর ডিরেক্টর অভিজিৎ কর।
জয়েন্ট এনট্রান্স পরীক্ষা, নিজের স্বপ্নকে সফল করার সব থেকে কঠিন এবং প্রথম চ্যালেঞ্জ। শেষ মুহূর্তে পরিশ্রমের কোনও বিকল্প নেই। তবে, এর পাশাপাশি, পড়াশোনার বিষয়ে কৌশল নির্ণয়ও খুব গুরুত্বপূর্ণ। এমন কিছু বিষয়ে আলোচনা করা হল, যা শিক্ষার্থীদের সাহায্য করতে পারে।
সিলেবাস এবং প্রশ্নের ধরন: জয়েন্টের সিলেবাস এবং প্রশ্নের ধরন নিয়ে বিশদে জেনে নেওয়া প্রয়োজন। কোন বিষয়ে কত নম্বর প্রশ্ন আসে, তার কিন্তু একটা হিসাব থাকে। কারণ, এই বিষয়টি ভাল করে জানা থাকলে কোন বিষয়ে কতটা পড়তে হবে, তা সহজে ঠিক করা যায়।
স্টাডি প্ল্যান: সারা দিনের জন্য একটি রুটিন বানানো প্রয়োজন। এমন ভাবে রুটিন তৈরি করতে হবে, যেন সব বিষয় থাকে সময়ের মধ্যে। এক বার রুটিন তৈরি হয়ে গেলে কঠোর ভাবে সেটি অনুসরণ করা প্রয়োজন।
কোন বই পড়া প্রয়োজন: সিলেবাসে যে স্ট্যান্ডার্ড টেক্সট বই দেওয়া আছে সেগুলোই ভাল করে পড়তে হবে। রেফারেন্স বই বাছাই করার সময় একটু সাবধান হওয়া প্রয়োজন। যে কোনও বিষয়ে এনসিইআরটি (ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং)-এর টেক্সট বই রেফারেন্স হিসাবে ব্যাবহার করা যেতে পারে।
মক টেস্ট: প্রশ্নের ধরন এবং টাইম ম্যানেজমেন্ট ঠিক করার জন্য সব থেকে ভাল পদ্ধতি হল, মক টেস্ট এবং পুরনো প্রশ্নপত্র সমাধান করা। প্রতিটি মক টেস্টের পর নিজেকেই বুঝতে হবে, কোথায় কোথায় সমস্যা রয়েছে। সেগুলি ঠিক ভাবে বুঝে নিয়ে দ্রুত সমাধান করা প্রয়োজন।
দুর্বল জায়গায় নজর দেওয়া প্রয়োজন: নিজের দুর্বলতাগুলি চিহ্নিত করা খুব প্রয়োজন। কোনও গুরুত্বপূর্ণ টপিক এড়িয়ে যাওয়া উচিত নয়। প্রয়োজনে অতিরিক্ত সময় দিয়ে সেই বিষয়গুলি ভাল করে পড়তে হবে।
সব শেষে বলা প্রয়োজন, নিজের শরীর সুস্থ রাখা এই সময় খুবই দরকারি। কঠোর পরিশ্রমের কোনও বিকল্প হয়ে না।