HS

উচ্চ মাধ্যমিকের বায়োলজি পরীক্ষা নিয়ে মাথাব্যথা নয়, পরামর্শ যোধপুর গার্লসের শিক্ষিকার

যে হেতু হাতে আর একদিন, এই মুহূর্তে মাথা ঠান্ডা রেখে এবং শরীর সুস্থ রেখে প্রস্তুতির দিকে মন দিলেই পরীক্ষার ফল ভাল হবে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২৩ ১৮:২৭
উচ্চমাধ্যমিকের বায়োসায়েন্স পরীক্ষার জন্য টিপস।

উচ্চমাধ্যমিকের বায়োসায়েন্স পরীক্ষার জন্য টিপস। প্রতীকী ছবি।

মাঝে আর একদিন। শনিবার অর্থাৎ ১৮ মার্চ রয়েছে উচ্চ মাধ্যমিকের বায়োলজি পরীক্ষা। বায়োলজি বিষয়টি অন্যান্য বিষয়ের থেকে অনেকটাই আলাদা। এ ক্ষেত্রে শুধু পড়া মুখস্থ করাই নয়, প্রস্তুতি নিতে হবে বিভিন্ন টপিকের অঙ্কনধর্মী প্রশ্নগুলির দিকে। পরীক্ষা যখন প্রায় দরজায় কড়া নাড়ছে, তার আগে কোন কোন বিষয় গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে, কেমন ভাবে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি নেওয়া যায় অথবা কোন প্রশ্নের জন্য ছবি আঁকা প্রয়োজন? সেই সমস্ত বিষয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন যোধপুর পার্ক গার্লস হাই স্কুলের বায়োলজি তথা সহ প্রধানশিক্ষিকা অজন্তা চৌধুরী।

প্রশ্নের ধরন: এই বছর প্রথমবার প্রশ্নপত্র এবং উত্তরপত্র আলাদা ভাবে দেওয়া হবে পরীক্ষার্থীদের। অর্থাৎ পরীক্ষার পর প্রশ্নপত্র সঙ্গে করে বাড়ি ফিরতে পারবে ছাত্রছাত্রীরা। প্রথমেই থাকবে এমসিকিউ-এর উত্তর লেখার নির্ধারিত জায়গা এবং পরের দু’টি পাতায় দিতে হবে এসএকিউ-এর উত্তর। প্রতি প্রশ্নে ১ নম্বর করে এমসিকিউতে থাকবে মোট ১৪ নম্বর এবং এসএকিউতে ৪ নম্বর। এ ছাড়াও পরীক্ষার্থীদের ৩ নম্বরের ছোট প্রশ্ন এবং ৫ নম্বরের বড় প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। এসএকিউ-এর উত্তর যেমন এক বা দুই লাইনে দিতে হবে, তেমনি বড় প্রশ্নগুলিও ভীষণ বড় লেখা যাবে না। উত্তর হতে হবে ‘টু দ্য পয়েন্ট’।

Advertisement

সময় নির্ধারণ: প্রশ্নের উত্তর পরপর দেওয়াই ভাল। তবে ছোট প্রশ্ন বিশেষ করে এমসিকিউ-এর পেছনে এক মিনিটের বেশি সময় খরচ করা উচিত না। যে প্রশ্নগুলির ক্ষেত্রে আঁকার মাধ্যমেই উত্তর দেওয়া সম্ভব, সেগুলির ক্ষেত্রে আর আলাদা করে লেখার প্রয়োজন নেই এবং এতে বেশি নম্বর তোলার সম্ভাবনাও বেশি।

গুরুত্ব যেখানে: পরীক্ষার্থীদের ২০২২-এর পরীক্ষায় যেই প্রশ্নগুলি বাদ ছিল বা অধ্যায়গুলি থেকে কোনও প্রশ্ন আসেনি, সেই প্রশ্ন/ অধ্যায়গুলি ভাল করে দেখতে হবে। এ ছাড়া, এ বারের পরীক্ষায় ৫ নম্বরের বড় প্রশ্নের ক্ষেত্রে সপুষ্পক উদ্ভিদের যৌন জনন বা মানুষের যৌন জনন থেকে একটি প্রশ্ন আসতে পারে। প্রশ্ন আসতে পারে বংশগতি এবং ইকোলজি চ্যাপ্টার থেকেও। এর জন্য পরীক্ষার্থীদের শেষ ৫ বছরের প্রশ্নপত্র এবং বিভিন্ন স্কুলের টেস্ট পরীক্ষার প্রশ্নপত্রগুলিও অবশ্যই ভাল করে দেখে রাখা প্রয়োজন।

আঁকার প্রশ্ন আলাদা ভাবে না এলেও সপুষ্পক উদ্ভিদের যৌন জনন বা মানুষের জনন থেকে প্রশ্ন এলে তার উত্তরে প্রাসঙ্গিক কোনও চিত্র আঁকতে হবে পড়ুয়াদের। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, সপুষ্পক উদ্ভিদের দ্বিনিষেক পদ্ধতি বর্ণনা, মানুষের নিষেক পদ্ধতির বর্ণনা, উজেনেসিস, স্পার্মাটোজেনেসিস, জৈবপ্রযুক্তি বিদ্যার অধ্যায় থেকে প্রশ্ন এলে পরীক্ষার্থীদের ছবি এঁকে বোঝাতে হবে। শুধু ছবি এঁকে ধাপে ধাপে বর্ণনা করেই উত্তর দেওয়া যাবে, আলাদা ভাবে লেখার প্রয়োজন পড়বে না।

যে বিষয়গুলি মাথায় রাখতে হবে:

১. আঁকার আগে অবশ্যই পেন্সিলে ধার দিয়ে নিতে হবে। কখনই পেন দিয়ে ছবি আঁকা যাবে না।

২.ছবি হতে হবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন।

৩. শেষ মুহূর্তে নতুন কিছু পড়ার প্রয়োজন নেই, সারাবছর যা যা পড়া হয়েছে, সেগুলিতেই চোখ বুলিয়ে গেলেই হবে।

৪. প্রশ্ন নির্বাচনের সময় যে প্রশ্নে শুধু আঁকার মাধ্যমে উত্তর দেওয়া সম্ভব বা যে প্রশ্নে নম্বরের বিভাজন বেশি, সেগুলির উত্তর করলে বেশি নম্বর তোলা সম্ভব।

৫. পাঠ্যবই ভাল করে পড়া থাকলেই এমসিকিউ বা এসএকিউ-এর উত্তর দিতে পারবে পড়ুয়ারা।

৬. যে হেতু হাতে আর একদিন, এই মুহূর্তে মাথা ঠান্ডা রেখে এবং শরীর সুস্থ রেখে প্রস্তুতির দিকে মন দিলেই পরীক্ষার ফল ভাল হবে।

আরও পড়ুন
Advertisement