Homeopathy Doctor

হোমিওপ্যাথি চিকিৎসাবিদ্যা পাশের পর বাংলায় চাকরির কী কী সুযোগ রয়েছে, জেনে নিন খুঁটিনাটি

পশ্চিমবঙ্গের কোন কলেজগুলিতে ব্যাচেলর অফ হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন অ্যান্ড সার্জারি (বিএইচএমএস) পড়ানো হয়, এবং পরবর্তীতে চাকরির কী সুযোগ রয়েছে তা বিস্তারিত আলোচনা করা হল।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০২২ ১৫:০৪
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা পদ্ধতির পাশাপাশি হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার দিকেও ঝুঁকছেন সাধারণ মানুষ। সময়সাপেক্ষ হলেও নির্দিষ্ট ব্যাধি সম্পূর্ণ নির্মূল করে তোলা সম্ভব বলে মনে করেন অনেকে। পেশাগত দিক থেকেও শিক্ষার্থীদের আগ্রহ দেখা দিচ্ছে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা বিদ্যায়। এই প্রতিবেদনে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক হতে কী যোগ্যতা প্রয়োজন, পশ্চিমবঙ্গের কোন কলেজগুলিতে ব্যাচেলর অফ হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন অ্যান্ড সার্জারি (বিএইচএমএস) পড়ানো হয়, এবং পরবর্তীতে চাকরির কী সুযোগ রয়েছে তা বিস্তারিত আলোচনা করা হল।

যোগ্যতা:

Advertisement
  • হোমিওপ্যাথি চিকিৎসাবিদ্যা পড়ার জন্য শিক্ষার্থীকে নুন্যতম ৫০ শতাংশ নম্বর থাকতে হবে দ্বাদশ শ্রেণিতে। এবং সংরক্ষিত বিভাগের শিক্ষার্থীদের ৪০ শতাংশ নম্বর থাকতে হবে।
  • শিক্ষার্থীদের দ্বাদশ শ্রেণিতে পদার্থবিদ্যা, রসায়ন এবং জীববিজ্ঞান বিষয়গুলি রাখা বাঞ্ছনীয়।
  • শিক্ষার্থীর বয়ঃসীমা ১৭ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে হতে হবে। সংরক্ষিত বিভাগের শিক্ষার্থীদের বয়সের ঊর্ধ্বসীমা ৩০ বছর।
  • বাংলায় বিএইচএমএস কলেজে ভর্তির জন্য দ্বাদশ শ্রেণির পর পশ্চিমবঙ্গ আয়ুস নিট ইউজি প্রবেশিকা পরীক্ষা দিতে হয়। এই পরীক্ষায় সাধারণ বিভাগের শিক্ষার্থীদের ৫০ শতাংশ ও সংরক্ষিত বিভাগের শিক্ষার্থীদের ৪০ শতাংশ নম্বরে পাশ করতে হয়।

কোর্স:

আয়ুস নিট ইউজি লিখিত পরীক্ষা পাশ করার পর শিক্ষার্থীকে কাউন্সেলিং এর জন্য আবেদন করতে হয়। ওয়েস্ট বেঙ্গল মেন কম্পিউটার কাউন্সেলিং (ডব্লিউবিএমসিসি) এর অফিসিয়ার ওয়েব সাইটে গিয়ে নিজের নাম নথিভুক্ত করতে হবে। এরপর মেধার ভিত্তিতে কাউন্সেলিং হয়। এবং কাউন্সেলিং-এ নির্বাচিত হলে মেধার ভিত্তিতে শিক্ষার্থী রাজ্যের বিএইচএমএস কলেজে ভর্তি হতে পারবেন।মূলত সব কলেজেই ইন্টার্নশিপ-সহ ৫ থেকে সারে ৫ বছরের বিএইচএমএস কোর্স করানো হয়।

নিচে পশ্চিমবঙ্গের কোন কোন প্রতিষ্ঠানে বিএইচএমএস পড়ানো হয় তার বিস্তারিত তুলে ধরা হল।

রাজ্য সরকার প্রদত্ত

  • ক্যালকাটা হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতাল: মোট আসন সংখ্যা ৫০, ঠিকানা- ২৬৫/৬, আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় রোড , মানিকতলা, কলকাতা ৭০০০০৯।
  • ডিন এন দে হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতাল: মোট আসন সংখ্যা ৬৩, ঠিকানা-১২, গোবিন্দ খটিক রোড, কলকাতা ৭০০০৪৬।
  • মহেশ ভট্টাচার্য হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতাল: মোট আসন সংখ্যা ৬৩, ঠিকানা-১, গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোড, ডুমুরজলা, হাওড়া ৭১১১০১।
  • মেদিনীপুর হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতাল: আসন সংখ্যা ৬৩, ঠিকানা- হোমিওপ্যাথি কলেজ লেন, মেদিনীপুর ৭২১১০৪।

কেন্দ্র সরকার প্রদত্ত

  • ন্যাশনাল ইন্সটিউট অফ হোমিওপ্যাথি।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠান

  • মেট্রোপলিটান হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হসপিটাল।
  • নিতাইচরণ চক্রবর্তী হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হসপিটাল।
  • বর্ধমান হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হসপিটাল।
  • বেঙ্গল হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হসপিটাল।
  • খড়্গপুর হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হসপিটাল।
  • পুরুলিয়া হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হসপিটাল।
  • বীরভূম বিবেকানন্দ হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হসপিটাল।
  • প্রতাপচন্দ্র মেমোরিয়াল হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হসপিটাল।

চাকরির সুযোগ:

বিএইচএমএস পাশে করার পর চাকরির অনেকগুলি দিক রয়েছে। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক হিসাবে গবেষণা, রোগী দেখা শুরু করতে পারেন। নিজস্ব ব্যাক্তিগত চেম্বারও করার অধিকার পেয়ে থাকেন। এ ছাড়াও ফার্মাসিস্টের কাজও করতে যেতে পারেন। আবার শিক্ষকতা বিভাগেও যাওয়া যেতে পারে।

আরও পড়ুন
Advertisement