Education

মনোবিদ্যা নিয়ে পড়বেন ভাবছেন? রয়েছে চাকরির দুর্দান্ত সুযোগ

এই প্রতিবেদনে মনোবিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা করার সুযোগ কী রয়েছে, পরবর্তী কালে চাকরির কী কী সুযোগ রয়েছে, সেই বিষয়গুলি বিস্তারিত আলোচনা করা হল।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০২২ ১০:৩১
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

অতিমারির পরবর্তী কালে মানসিক ব্যাধি চরম আকারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বাড়ছে আত্মহত্যার সমস্যাও। তবে, বর্তমানে মানসিক ব্যাধিকে আর অবহেলা করছেন না বহু মানুষ। পরামর্শ নিচ্ছেন মনোবিজ্ঞানীর। সেই জায়গা থেকে চাহিদাও বাড়ছে এই পেশার। এই প্রতিবেদনে মনোবিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা করার সুযোগ কী রয়েছে,পরবর্তী কালে চাকরির কী কী সুযোগ রয়েছে, সেই বিষয়গুলি বিস্তারিত আলোচনা করা হল।

মনোবিদ্যা নিয়ে নিয়ে পড়তে কী যোগ্যতার প্রয়োজন:

Advertisement

স্নাতক স্তরে বিএ (ব্যাচেলর অফ আর্টস) এবং বিএসসি (ব্যাচেলর অফ সায়েন্স) মনোবিদ্যায় করতে হয়। তবে, মনোবিদ্যায় বিএসসি করতে গেলে দ্বাদশ শ্রেণিতে বিজ্ঞান বিভাগ থাকা বাঞ্ছনীয়। এবং বিএ, বিএএসসি উভয় ক্ষেত্রে দ্বাদশ শ্রেণিতে মনোবিদ্যা থাকলে ভাল, কিন্তু বাধ্যতামূলক নয়।

শিক্ষাগত ধাপ:

দ্বাদশ শ্রেণির পর মনোবিদ্যা বিষয় অনার্স-সহ স্নাতক ডিগ্রি করতে হয়। স্নাতক পাশের পর মূলত তিনটি দিক খোলা থাকে শিক্ষার্থীদের জন্য।

কাউন্সেলিং: যারা স্নাতক পাশের পর শুধু মাত্র কাউন্সেলিং করতে চান, তাঁদের যে কোনও সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অথবা সুপরিচিত প্রতিষ্ঠান থেকে কাউন্সেলিং-এর এক বছরের কোর্স করতে হয়। এই কোর্স শেষের পর শিক্ষার্থীকে শংসাপত্র প্রদান করা হয়, যার সাহায্যে পরবর্তী কালে শিক্ষার্থী কাউন্সেলিং করতে পারেন। শিক্ষার্থী চাইলে কাউন্সেলিং কোর্স সম্পূর্ণ হওয়ার পর ইন্টার্নশিপ করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাউন্সিলর পদে নিযুক্ত হতে পারেন।

সাইকলোজিস্ট: শিক্ষার্থীকে সাইকলোজিস্ট হওয়ার জন্য স্নাতকোত্তর পাশ করতে হয়। এমএ করার সময় দ্বিতীয় সেমেস্টারে শিক্ষার্থীকে ক্লিনিক্যাল সাইকলোজি, ইন্ডাস্ট্রিয়াল সাইকলোজি অ্যান্ড অর্গানাইজেশনাল বিহেভিয়ার, এডুকেশন সাইকলোজি, হেলথ সাইকলোজি, কগনিটিভ সাইকলোজি, সোশ্যাল সাইকলোজি,এক্সপেরিমেন্টাল সাইকলোজির মতো যে কোনও একটি বিষয়ে বিশেষ দক্ষতার সঙ্গে স্নাতকোত্তর পাশ করতে হয়। স্নাতকোত্তর পড়া চলাকালীন শিক্ষার্থী যে বিশেষ বিভাগ নিয়ে পড়ছেন সেই বিভাগে ইন্টার্নশিপ করতে হয়। স্নাতকোত্তর পাশের পর শিক্ষার্থী সাইকলোজিস্ট ডিগ্রি অর্জন করেন এবং কাজ শুরু করতে পারেন।

ক্লিনিক্যাল সাইকলোজিস্ট: স্নাতকোত্তর পাশের পর যদি কোন শিক্ষার্থী ক্লিনিক্যাল বিভাগে যেতে চান, তা হলে তাঁকে পিএইচডি, এমফিল করতে হয়। পিএইচডি, এমফিল চলাকালীন শিক্ষার্থীকে ইন্টার্নশিপ করতে হয়। ডিগ্রি শেষের পর শিক্ষার্থী রিহ্যাবিলিটেশন অফ ইন্ডিয়া (আরসিআই) থেকে শংসাপত্র পান। এই শংসাপত্রের সাহায্যে ক্লিনিক্যাল সাইকলোজিস্টরা থেরাপি, পরীক্ষা, ডায়গনিস্টিক, কাউন্সেলিং এর মতো কাজগুলি করতে পারেন।

মনোবিজ্ঞান পাশের পর চাকরির সুযোগ:

ক্লিনিক্যাল সাইকলোজি বা রিহ্যাবিলিটেশন অ্যান্ড কাউন্সেলিং সাইকলোজি: মনোবিজ্ঞান নিয়ে পাশের পর বেশ কিছু বিভাগে চাকরির সুযোগ রয়েছে। সব থেকে বেশি সুযোগ রয়েছে যদি কেউ ক্লিনিক্যাল সাইকলোজি নিয়ে পড়াশোনা করেন। এক জন লাইসেন্স প্রাপ্ত ক্লিনিক্যাল সাইকলোজিস্ট-এর সরকারি, বেসরকারি হাসপাতালে,এনজিও, বেসরকারি ক্লিনিক বা ফ্রিল্যান্সার হিসাবে কাজ করার সুযোগ রয়েছে।

এডুকেশন সাইকলোজি: রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয়, মানসিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে, আবাসিক ক্লিনিকে এডুকেশন সাইকলোজিস্ট হিসাবে কাজ করতে পারেন।

ইন্ডাস্ট্রিয়াল সাইকলোজি অ্যান্ড অর্গানাইজেশনাল বিহেভিয়ার: কোনও সংস্থায়কর্মী নির্বাচন এবং নিয়োগের পরামর্শদাতা হিসাবে, সংস্থার কর্মীরা কী ভাবেব্যক্তিগত এবং পেশাগত জীবনে সামঞ্জস্য রাখবেন সেই বিষয়েও পরামর্শ দিতে ইন্ডাস্ট্রিয়াল সাইকলোজিস্ট হিসাবে কাজ করতে পারেন।

স্পোর্টস সাইকলোজিস্ট: ক্রীড়াদল, পেশাদার ক্রীড়াদল, ক্রীড়া পুনর্বাসন কেন্দ্র এবং ক্রীড়া গবেষণা কেন্দ্রে স্পোর্টস সাইকলোজিস্ট হিসাবে নিযুক্ত হয়ে কাজ করতে পারেন।

ফরেনসিক সাইকলোজিস্ট: পুলিশ বিভাগ, অপরাধ শাখা, প্রতিরক্ষা, প্রশাসন বিভাগ এর মতো জায়গাগুলিতে ফরেনসিক সাইকলোজিস্ট পদে নিযুক্ত হয়ে পরামর্শদাতা হিসাবে কাজ করতে পারেন।

এ ছাড়াও, ডিগ্রি অর্জনের পর সাইকলোজিস্ট বা ক্লিনিক্যাল সাইকলোজিস্ট ফ্রিল্যান্স কাজও করতে পারেন।

আরও পড়ুন
Advertisement