ছবি: সংগৃহীত।
মাধ্যমিক পরীক্ষার নিরাপত্তা নিয়ে কোন রকম আপোস করতে নারাজ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এ বছর থেকে যে সমস্ত স্কুল সম্পূর্ণ পাঁচিল দিয়ে ঘেরা থাকবে না বা সিসিটিভি থাকবে না সেই স্কুলগুলিকে পরীক্ষা কেন্দ্র হিসেবে রাখছেন না মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “যে সমস্ত স্কুলগুলিতে মাধ্যমিকের পরীক্ষা কেন্দ্র হবে সেই স্কুলগুলিকে পাঁচিল দিয়ে ঘেরা থাকতে হবে। তা না হলে সহজেই অপরিচিত ব্যক্তিরা স্কুলের ভিতরে প্রবেশ করতে পারে। যা নিরাপত্তার ক্ষেত্রে একটা বড় প্রশ্ন হতে পারে, তাই আমরা সতর্ক।”
শুধু যে পাঁচিল দিয়ে ঘেরা তা নয়, স্কুলগুলিকে গত বছর থেকেই সিসিটিভি বসানোর কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু এখনও বহু স্কুল সেই নির্দেশ মানেনি বলে পর্ষদ সূত্রের খবর। তাই সেই সমস্ত স্কুলগুলিকেও পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে রাখা হচ্ছে।
এ বছর প্রথম যে সব স্কুলে সর্বনিম্ন ৩০০ এবং সর্বোচ্চ ৮০০ পরীক্ষার্থী এক সঙ্গে পরীক্ষা দিতে পারবেন সেই সব স্কুলগুলিকে বাছাই করা হয়েছে পর্ষদের তরফ থেকে। পর্ষদের দাবি, ছোট ছোট পরীক্ষাকেন্দ্র করলে পরিচালনার ক্ষেত্রে যেমন অসুবিধা রয়েছে, পাশাপাশি পরীক্ষা ব্যবস্থার নিরাপত্তা নিয়েও একটা প্রশ্ন থেকে যায়।
রামানুজ বলেন, “ আগে এই ব্যবস্থাপনা ছিল না, কোনও কোনও স্কুলে ৫০ থেকে ১৫০ পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় বসতে পারত। তাতে যেমন পর্ষদের খরচ বেশি হত তেমনই নিরাপত্তা নিয়েও একটা প্রশ্ন দেখা দিত। তাই এ বছর স্কুল বাছাই এর ক্ষেত্রে এই বিষয়গুলির ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।”
সর্বোপরি দেখা গিয়েছে, বিগত কয়েক বছরে পরীক্ষার শেষে বা পরীক্ষার মাঝে বেশ কিছু স্কুলে ভাঙচুর চালিয়েছেন পড়ুয়ারা। পর্ষদের তরফ থেকে এ বার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে, পরীক্ষা শুরুর আগে পরীক্ষা কেন্দ্র গুলির ছবি ‘জিও ট্যাগ’-সহ তুলে রাখবেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। যদি কোন স্কুলে ভাঙচুর করা হয় তবে সেই ছবিও একই ভাবে তুলে পর্ষদের কাছে পাঠাতে হবে। যে স্কুলের পড়ুয়ারা ভাঙচুর করবেন সে সব স্কুলকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে পরীক্ষাকেন্দ্রের। যে সব পরীক্ষাকেন্দ্রে ভাঙচুর হবে তারা ছাড়পত্র দিলেই ওই সব পড়ুয়াদের ফলাফল ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন পর্ষদ সভাপতি।