Jodhpur Park Boys' School

দ্বিতীয়বার পরীক্ষায় পাশ না করলে, মাধ্যমিক নয়!

১৩ জন পরীক্ষার্থী যারা ভৌত বিজ্ঞান ও অঙ্ক এই দু’টি বিষয়ে নম্বর অনেকটাই কম পেয়েছেন। এর পরেই তড়িঘড়ি করে স্কুল কর্তৃপক্ষ একটি বৈঠক করেন শিক্ষকদের নিয়ে। সেখানেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে এই দু’টি বিষয়ের উপর কম নম্বর পাওয়া ছাত্রদের পুনরায় পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৭:৫৬
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

টেস্টের ফলাফলে যাদের ২০ নীচে নম্বর, ফল প্রকাশ হওয়ার একদিনের মাথায় তাদের জন্য ফের পরীক্ষা নিল যোধপুর পার্ক বয়েজ স্কুল। এই সুযোগ পেল ১৩ জন ছাত্র। এ বছর প্রথমবার স্কুলের তরফ থেকে এই ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হল। দ্বিতীয়বার টেস্টে অনুত্তীর্ণ ছাত্রদের মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য আরও এক বছর অপেক্ষা করতে হবে বলে জানিয়েছে স্কুল।

Advertisement

২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু মাধ্যমিক পরীক্ষা যা চলবে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষার আগে সমস্ত স্কুলেই চলছে সিলেকশন টেস্ট। যোধপুর পার্ক বয়েজ স্কুলে ১৮ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে টেস্ট পরীক্ষা যা শেষ হয়েছে নভেম্বরের ২৭ তারিখ। টেস্টের ফলাফল ঘোষণা হয়েছে ডিসেম্বরের ৭ তারিখ। সেখানে দেখা গেছে ১৩ জন পরীক্ষার্থী যারা ভৌত বিজ্ঞান ও অঙ্ক এই দু’টি বিষয়ে নম্বর অনেকটাই কম পেয়েছেন। এর পরেই তড়িঘড়ি করে স্কুল কর্তৃপক্ষ একটি বৈঠক করেন শিক্ষকদের নিয়ে। সেখানেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে এই দু’টি বিষয়ের উপর কম নম্বর পাওয়া ছাত্রদের পুনরায় পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। তাঁর প্রধান কারণ হিসেবে মনে করছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ, মাধ্যমিকে যে ধরনের প্রশ্ন করা হয় সেই অনুযায়ী সম্পূর্ণরূপে তৈরি নয় এই ১৩ জন পড়ুয়া।

যোধপুর পার্ক বয়েজ স্কুলের প্রধান শিক্ষক অমিত সেন মজুমদার বলেন, “ছাত্রদের স্বার্থেই দ্বিতীয়বার পরীক্ষা গ্রহণ করা হচ্ছে। যাতে এই দু’টি বিষয়ের ওপর পড়াশোনার ইচ্ছা বৃদ্ধি পায়। তড়িঘড়ি করে নতুন প্রশ্নপত্র তৈরি করা হয়েছে এবং মাধ্যমিকের ফর্ম পূরণের সময়সীমাও পরিবর্তন করা হয়েছে।”

আগামী বছর এই স্কুল থেকে ৮২ জন পরীক্ষার্থী মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবেন। মাধ্যমিকে প্রথম ও দ্বিতীয় ভাষা মিলিয়ে মোট সাতটি বিষয় পরীক্ষা দিতে হয় পরীক্ষার্থীদের। যার মধ্যে দেখা যায় বিজ্ঞানের বিষয়ের প্রতি পড়ুয়াদের একটা ভীতি থাকে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্কুলের এক শিক্ষক জানিয়েছেন, মাধ্যমিকে যে ধরনের প্রশ্ন করা হয় সেখানে পাস মার্ক বা ৫০ শতাংশ নম্বর তোলা খুব একটা বড় ব্যাপার নয়। সেখানে এই ১৩ জন অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে।

স্কুলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, দ্বিতীয়বার পরীক্ষা দেওয়ার পর যারা পাশ মার্ক পাবেন, তাদের জন্য স্পেশাল ক্লাসের ব্যবস্থা করা হবে। যাতে তাঁরা মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসার আগে ভুল ত্রুটি গুলো শুধরে নিতে পারে। আর যদি দ্বিতীয়বারের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে না পারে তা হলে তাদের মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার আরও জন্য এক বছর অপেক্ষা করতে হবে।

শনিবার ভৌত বিজ্ঞান পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে ও সোমবার অঙ্ক পরীক্ষা নেওয়া হবে স্কুলের তরফ থেকে।

আরও পড়ুন
Advertisement