নিজস্ব চিত্র।
প্রথাগত শিক্ষার পাশাপাশি পড়ুয়াদের শৈল্পিক সত্তাকে জাগ্রত করতে উদ্যোগী হল সেন্ট পল’স ক্যাথিড্রাল মিশন কলেজ। ভারতীয় সিনেমা ও ভিসুয়াল আর্টস- এর ৩০ ঘণ্টার স্বল্পমেয়াদী ‘অ্যাড অন’ পাঠক্রম চালু করেছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ ।
সিনেমা অনেক না বলা কথা তুলে ধরে বড় পর্দায়। বাস্তবে সেই সিনেমা কী ভাবে তৈরি হয়, কোন পরিস্থিতির মধ্যে কাজ করতে হয়, চলচ্চিত্র তৈরির ক্ষেত্রে ক্যামেরার কী গুরুত্ব বা কী ভাবে তৈরি হয় শর্ট ফিল্ম, ডকুমেন্টরি তা এই ‘অ্যাড অন’ পাঠক্রমের মাধ্যমে পড়ুয়াদের বিশেষ ধারণা তৈরি করবে বলে মনে করছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ।
কোর্স কনভেনার সুতপা দাশগুপ্ত বলেন, “ছাত্র-ছাত্রীদের শৈল্পিক মনোভাব তৈরি করা আমাদের মূল উদ্দেশ্য। প্রথাগত শিক্ষার পাশাপাশি পড়ুয়ারা যাতে সৃজনশীল জগতে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করতে পারে, তাই এই ধরনের পাঠক্রম শুরু করা হয়েছে।”
ইংরেজি বিভাগের মাধ্যমে শুরু করা হয়েছে ‘ভিজুয়াল কালচার মেনি ওয়েজ অফ সিন’। এর মাধ্যমে পড়ুয়াদের ভিজুয়াল আর্টস, ফটোগ্রাফিক ধারণার পাশাপাশি ভিসুয়াল কালচার সম্পর্কে বিশেষ ধারণা তৈরি করা হবে।
ইতিহাস বিভাগের উদ্যোগে ‘আইডিয়া অফ নেশন এন্ড নেশন বিল্ডিং আ ফিল্ম অ্যাপ্লিকেশন কোর্স অফ ইন্ডিয়ান সিনেমা’— কোর্সের মাধ্যমে মূলত ভারতীয় সিনেমার যে গুরুত্ব সেটা পড়ুয়াদের সামনে তুলে ধরা হবে, জাতি ও নাগরিকদের সঙ্গে চলচ্চিত্রের যে পারস্পরিক সম্পর্ক রয়েছে তার একটি ধারণা তৈরি করা হয়েছে এই পাঠক্রমের মাধ্যমে।
গুপী গাইন বাঘা বাইন থেকে শুরু করে বাণিজ্যিক সিনেমা শোলে অথবা সত্যজিৎ রায়ের পথের পাঁচালী। সমস্ত রকম সিনেমা এখানে দেখানো হয়েছে এবং কী ভাবে আর কোন পটভূমিকায় তা তৈরি করা হয়েছিল তার ব্যাখ্যা ও ধারণা দেওয়া হয়েছে। ইতিহাস বিভাগের উদ্যোগে এই পাঠক্রমটি গ্রহণ করা হয়েছিল এবং ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসকে ও তুলে ধরা হয়েছে।
তবে শুধু এখানেই থেমে থাকতে চাইছে না সেন্ট পল’স ক্যাথিড্রাল মিশন কলেজ, আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে ডিজিটাল ভিডিয়ো এডিটিং এর পাঠক্রম শুরু করার ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ।