প্রতীকী চিত্র।
জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা হিসাবে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশনের দশম শ্রেণির পরীক্ষা বিশেষ ভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এই পরীক্ষার মাধ্যমেই প্রথম পড়ুয়ারা নিজেদের মেধা প্রয়োগের সুযোগ পায়। তাই সিবিএসই বোর্ডের পরীক্ষার্থী হিসাবে পড়ুয়াদের মধ্যে আলাদা উত্তেজনা যেমন কাজ করে, তেমনই বিভিন্ন চিন্তাও বাড়তে থাকে। কিন্তু পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য দশম শ্রেণির পড়ুয়াদের বিশেষ কিছু নিয়ম মাথায় রাখা প্রয়োজন রয়েছে। সে বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন দমদমের আদিত্য অ্যাকাডেমি সিনিয়র সেকেন্ডারি স্কুলের অধ্যক্ষ মেঘনা ঘোষাল।
অধ্যক্ষ প্রথমেই রুটিন মাফিক পড়াশোনার অভ্যাস তৈরি করার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, পড়ুয়াদের প্রথমে প্রতিটি বিষয় পড়ার জন্য দিনের বিভিন্ন সময় ভাগ করে নিতে হবে। এতে প্রতিদিনই প্রতিটি বিষয় একটু একটু করে পড়া হবে। আর এই অভ্যাসের কারণে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়গুলি বেছে নিয়ে তার জন্য আলাদা করে পড়ার সময়ও আগে থেকেই কিছুটা তৈরি হয়ে থাকবে। তবে এ ক্ষেত্রে শুধু মুখস্থ করে প্রতিটি অধ্যায় পড়লেই চলবে না, এর সঙ্গে প্রতিদিনের লক্ষ্যমাত্রাও স্থির করতে হবে। এই লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছতে পারলেই পড়াশোনার প্রতি মনোযোগ বাড়বে।
অধ্যক্ষ আরও বলেন, “শুধুমাত্র পাঠ্যবই নয়, পড়ার জন্য বিভিন্ন রেখাচিত্র, মানচিত্র ব্যবহার করা এবং ছোট ছোট নোট তৈরি করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মনে রাখার অভ্যাস তৈরি করতে হবে। প্রতিদিন পড়তে বসার সময় আগের দিনের পড়ায় চোখ বুলিয়ে নেওয়া কিংবা নমুনা প্রশ্নপত্রের উত্তর লিখতে লিখতে বিষয়বস্তু মনে করে নিলেও পাঠ্যক্রম শেষ করার চাপ অনেকটাই কমবে। এতে পড়ুয়ারা উৎসাহ পাবে বিভিন্ন বিষয় শিখে নেওয়ার বিষয়ে।”
এ ক্ষেত্রে মেঘনা বাড়ির পরিবেশের ভূমিকা নিয়ে বেশ কিছু বিষয় চিহ্নিত করেছেন। তাঁর মতে, পরীক্ষার্থীদের বাবা-মায়েদের সচেতন হতে হবে। পড়ার ঘর কিংবা পরিবেশ যাতে যথোপযুক্ত হয়, তা নিয়ে অভিভাবকদের উদ্যোগী হতে হবে। একটানা পড়াশোনার পর যাতে পড়ুয়া বিশ্রাম নেয়, সেই বিষয়টিতে লক্ষ্য রাখতে হবে। আরও ভাল হয়, যদি বিশ্রামের জন্য যোগব্যায়াম বা প্রাণায়মের কিংবা হালকা ব্যায়ামের অভ্যাস তৈরি করা যেতে পারে। এতে, ক্লান্তি যেমন দূর হবে, তেমনই পড়ুয়া নিজের কাজের প্রতি মনোযোগী হয়ে উঠতে পারবে।
সব শেষে, পরীক্ষার আগে সমাজমাধ্যম থেকে দূরে থাকাই শ্রেয়, মত অধ্যক্ষের। এতে পরীক্ষার আগে হতে থাকা চিন্তা অনেকটা বেশি প্রভাব ফেলতে পারে, পাশাপাশি, মনসংযোগেও একই ভাবে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। পড়ুয়াদের নিজেদের প্রতি আত্মবিশ্বাস বজায় থাকা বিশেষ ভাবে প্রয়োজন। সে ক্ষেত্রে সমাজমাধ্যমে বিচরণ খানিকটা প্রভাব ফেলতে পারে। তাই পরীক্ষার বিষয়গুলিকে নিয়ে একটু গুরুত্ব দিলেই মুশকিল আসান হবে।