ছবি: সংগৃহীত।
২০২৪ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষায় ইতিহাসে ভাল ফল করতে গেলে সর্বপ্রথম প্রয়োজন পাঠ্য বইটি প্রথম অধ্যায় থেকে শেষ অধ্যায় পর্যন্ত ধারাবাহিক ভাবে জানা। এ প্রসঙ্গে বিস্তারিত জানালেন যাদবপুর বিদ্যাপীঠের ইতিহাসের শিক্ষক স্বপন কুমার সর্দার।
মাধ্যমিক পরীক্ষার আগে প্রত্যেক দিন নির্ধারিত সময় ঠিক করে নিতে হবে ছাত্র-ছাত্রীদের। সেই সময় এক একটি অধ্যায় বেশ কয়েকটি ভাগে ভাগ করে পড়তে হবে। তবে সেটা কতটা পড়বে তা নির্ভর করবে ছাত্র-ছাত্রীদের নিজস্ব মেধার উপর। যেমন, উদাহরণ হিসাবে ধরা যাক প্রথম দিন প্রথম অধ্যায় থেকে আধুনিক ইতিহাস চর্চার বৈশিষ্ট্য গুলির মধ্যে থেকে সামাজিক ইতিহাস, খেলার ইতিহাস, পরিবেশ পোশাক পরিচ্ছদ-এর ইতিহাস, শিল্পচর্চার ইতিহাস গুরুত্ব দিয়ে পড়তে হবে। দ্বিতীয় দিনের কাজ হবে আগের দিনে পড়া ইতিহাসের বিষয়বস্তু চোখ বুলিয়ে নেওয়া। কোনও বিষয় ভুলে গেলে তা আরও এক বার চোখ বুলিয়ে নিতে হবে। এটা দেখে নেওয়ার পর আধুনিক ভারতের ইতিহাস এর প্রথম অধ্যায়টি পড়তে হবে।
তৃতীয় দিন ইতিহাস নিয়ে পড়তে বসার আগে প্রথম এবং দ্বিতীয় দিনের বিষয়গুলি আবার চোখ বোলাতে হবে। কোন কিছু ভুলে গেলে সেটা দেখে নিয়ে দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু করতে হবে। এ ভাবেই প্রথম থেকে শেষ অধ্যায় পর্যন্ত বার বার চোখ বোলাতে হবে। এর সঙ্গে সঙ্গে সহায়িকা বইয়ের সহায়তাও নিতে হবে।
ছাত্র-ছাত্রীদের আরও একটি বিষয় বিশেষ ভাবে মনে রাখতে হবে সেটা হল মাধ্যমিকের ইতিহাস প্রশ্নের বিভাগ-ক, খ এবং গ মিলিয়ে মোট ৫৮ নম্বর প্রশ্নের উত্তর সঠিক করতে হবে। এখানে নম্বর ভাগ করা হয়েছে (২০+১৬+২২)। এর জন্য প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীকে মনে রাখতে হবে ইতিহাসের বিশেষ ঘটনাগুলি কোন সময় এবং কোন সালে ঘটেছে। তাহলে মানচিত্রে সঠিক স্থান চিহ্নিতকরণ করতে পারবে।
বিভাগ ঘ এবং ঙ, মোট ৩২( ২৪+৮) নম্বর আছে। এখানে প্রশ্নের উত্তর দিতে গেলে সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক বিষয়গুলিকে সমান গুরুত্ব সহকারে পড়তে হবে।
তিনি আরও বলেন “তবে ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশে বলব খালি ইতিহাস বিষয় নয় পরীক্ষার আগে অন্য বিষয়গুলি তোমরা একই ভাবে অভ্যাস করতে থাকবে তাহলে সমস্ত বিষয় ভাল ফলের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাবে।”