SIP Investment

চক্রবৃদ্ধি হারে সুদের কামাল, অবসর জীবনে এই প্রকল্প থেকে মিলতে পারে ১০ কোটি!

৬০-এ পা দিয়ে সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান বা এসআইপি থেকে ১০ কোটি টাকা পেতে পারেন গ্রাহক। ৩০ বছর থেকে এই আর্থিক প্রকল্পে বিনিয়োগ শুরু করলে প্রতি মাসে কত টাকা করে সংশ্লিষ্ট তহবিলে করতে হবে জমা?

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৩:৩২
SIP may give Rs 10 crore return on your retirement know monthly investment amount

—প্রতীকী ছবি।

অবসরের পর মোটা টাকা হাতে পেতে কম বয়স থেকে বিভিন্ন আর্থিক প্রকল্পে লগ্নি করা উচিত। এর অন্যতম বিকল্প হতে পারে সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান বা এসআইপি। ৩০ বছরে পা দিয়ে এই প্রকল্পে বিনিয়োগ করলে অবসরের পর ১০ কোটি টাকা পর্যন্ত পেতে পারেন গ্রাহক। তবে সে ক্ষেত্রে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ এতে লগ্নি করতে হবে। আনন্দবাজার অনলাইনের এই প্রতিবেদনে রইল সেই হিসেব-নিকেশ।

Advertisement

এসআইপির বিনিয়োগ বাজারের ওঠাপড়ার উপর নির্ভরশীল। তবে এর সব থেকে বড় সুবিধা হল চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ। ফলে লগ্নি করা টাকার পরিমাণ অনেকটা বৃদ্ধি পাওয়র সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে। আর্থিক বিশ্লেষকদের একাংশের কথায়, ৩০ বছর এসআইপি শুরু করার আদর্শ সময়। এতে গ্রাহকের ৬০-এ পৌঁছলে ভাল রিটার্ন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

তবে এসআইপি থেকে অবসরের পর ১০ কোটি টাকা পেতে হলে প্রতি মাসে অন্তত ২৮,৩৫০ টাকা করে লগ্নি করতে হবে। এতে বছরে ১২ শতাংশ পর্যন্ত সুদ পেতে পারেন গ্রাহক। ৬০ বছর পর্যন্ত প্রতি মাসে প্রায় ২৯ হাজার টাকা করে বিনিয়োগ করে গেলে মোট লগ্নির পরিমাণ দাঁড়াবে ১ কোটি ২ লক্ষ ৬ হাজার টাকা। সে ক্ষেত্রে বার্ষিক ১২ শতাংশ হারে মেয়াদ শেষে মোট সুদের পরিমাণ দাঁড়াবে ৮ কোটি ৯৮ লক্ষ ৬৭ হাজার ৫৫ টাকা। ফলে সুদেমূলে গ্রাহক ১০ কোটি ৭৩ হাজার ৫৫ টাকা ফেরত পাবেন।

এখানে উল্লেখ্য, বার্ষিক ১২ শতাংশ হারে সুদ পেলে তবেই এই বিপুল টাকা হাতে পাবেন গ্রাহক। সুদের হার ১০ শতাংশে নেমে গেলে প্রাপ্ত অর্থের পরিমাণ কমবে। আবার বাজার ঊর্ধ্বমুখী হলে ১৫ থেকে ১৭ শতাংশ পর্যন্ত সুদ পেতে পারেন গ্রাহক। তখন মূলধনের উপর সুদের পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পাবে।

(বিশেষ দ্রষ্টব্য: সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান বা এসআইপিতে লগ্নি বাজারগত ঝুঁকি সাপেক্ষ। আর তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনেই এতে বিনিয়োগ করুন। এসআইপিতে আর্থিক ভাবে লোকসান হলে আনন্দবাজার অনলাইন কর্তৃপক্ষ কোনও ভাবেই দায়ী নয়।)

Advertisement
আরও পড়ুন