Mumbai Ferry Accident

মুম্বই লঞ্চডুবি: তিন দিন পরে পাওয়া গেল নিখোঁজ কিশোরের দেহ, মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ১৫

বুধবার বিকেলে মুম্বইয়ের এলিফ্যান্টা গুহার কাছে নৌসেনার স্পিডবোট ধাক্কা মারে যাত্রিবাহী লঞ্চে। দুর্ঘটনার তিন দিন পরে পাওয়া গেল নিখোঁজ কিশোরের দেহ। এই নিয়ে মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে হল ১৫।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৫:৪৮
বুধবার বিকেলে মুম্বইয়ের এলিফ্যান্টা গুহা যাওয়ার পথে লঞ্চ দুর্ঘটনার পর উদ্ধারকাজ।

বুধবার বিকেলে মুম্বইয়ের এলিফ্যান্টা গুহা যাওয়ার পথে লঞ্চ দুর্ঘটনার পর উদ্ধারকাজ। ছবি: পিটিআই।

মুম্বইয়ে এলিফ্যান্টা গুহার কাছে লঞ্চডুবির তিন দিন পর মিলল নিখোঁজ কিশোরের দেহ। বুধবার বিকেলে নৌসেনার একটি স্পিডবোট ধাক্কা মারে যাত্রিবাহী লঞ্চে। দুর্ঘটনার পর থেকে খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না জোহান মহম্মদ নিসার আহমেদ পাঠান নামে বছর সাতের ওই কিশোরের। তিন দিন ধরে অভিযানের পরে শনিবার সকালে তার দেহ উদ্ধার করে নৌসেনার একটি দল। এই নিয়ে লঞ্চডুবির ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে হল ১৫।

Advertisement

যাত্রিবাহী লঞ্চ এবং নৌসেনার স্পিডবোট মিলিয়ে ১১৩ জন যাত্রী দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিলেন বুধবার। তার মধ্যে ৯৮ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। যাদের মধ্যে দু’জন আহত অবস্থায় ভর্তি রয়েছেন হাসপাতালে। বাকি দুই যাত্রীর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। বৃহস্পতিবার এক জনের দেহ উদ্ধার করা হয়। এর পর শনিবার পাওয়া যায় কিশোরের দেহও।

নৌসেনার তরফে জানানো হয়, ওই স্পি়ডবোটটির ইঞ্জিন পরীক্ষা করা হচ্ছিল। সেই সময়েই ‘নীলকমল’ নামে একটি যাত্রিবাহী লঞ্চে ধাক্কা মারে নৌসেনার স্পিডবোটটি। দুর্ঘটনার সময়ে স্পিডবোটটিতে ছ’জন ছিলেন। তাঁদের মধ্যে দু’জনকে জীবিত উদ্ধার করা গিয়েছে। কী ভাবে দুর্ঘটনাটি ঘটল, তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত চালাচ্ছে মুম্বই পুলিশ। পাশাপাশি নৌসেনাও একটি অভ্যন্তরীণ তদন্তকারী দল গঠন করেছে।

ওই লঞ্চটির ৬ জন কর্মী এবং ৮৪ জন যাত্রীকে বহন করার অনুমতি ছিল। কিন্তু শতাধিক যাত্রীকে নিয়ে লঞ্চটি গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়া থেকে এলিফ্যান্টা গুহার দিকে রওনা দিয়েছিল। দুর্ঘটনার পর ওই লঞ্চের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, স্পিডবোটের থ্রটলে সমস্যা দেখা দিয়েছিল। ফলে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। তার পরই সেটি সোজা গিয়ে ধাক্কা মারে যাত্রীবোঝাই লঞ্চে। সে ক্ষেত্রে কেন ব্যস্ত সময়ে স্পিডবোটের ইঞ্জিন পরীক্ষা করা হচ্ছিল, সে বিষয়েও নৌসেনার কাছে জবাব চেয়ে পাঠিয়েছে মুম্বই পুলিশ। ওই লঞ্চে ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি যাত্রী তোলা হয়েছিল কি না, যাত্রীদের লাইফজ্যাকেট দেওয়া হয়েছিল কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Advertisement
আরও পড়ুন