ত্বকের বাড়তি যত্ন নেবে ফেসিয়াল মিস্ট। ছবি:ফ্রিপিক।
রোদে, ঘর্মাক্ত মুখে ফেসিয়াল মিস্টের ঠান্ডা স্প্রে খুবই আরামদায়ক। গরমের দিনে শীতল স্পর্শ যেমন স্বস্তিদায়ক, তেমনই তা ত্বকের জন্যও ভাল। তবে শুধু গ্রীষ্মে নয়, শীতের দিনেও ত্বকের জন্য প্রয়োজন পড়তে পারে ফেসিয়াল মিস্টের। তার কারণও রয়েছে। এই মরসুমে মুখ শুষ্ক হয়ে যায়। ক্রিম মেখে বাইরে বেরোনোর পরেও কয়েক ঘণ্টা যেতে না যেতেই ত্বক জেল্লাহীন মনে হয়। এই সময় এক বার ফেসিয়াল মিস্ট মুখে স্প্রে করলেই কিন্তু ত্বকে ফিরতে পারে হারানো জৌলুস।
এমনিতে এটি ব্যবহারে কোনও ঝক্কি নেই। বোতলে ভরা তরল মুখে সহজেই স্প্রে করে নেওয়া যায়। মোছামুছির দরকার হয় না। সেই তরল ত্বকে শুকোতে দিতে হয়। তবে গরম এবং শীতের উপাদানে তফাত হয়। ঠান্ডার দিনে ফেসিয়াল মিস্ট ব্যবহার করতে হলে বেছে নিতে পারেন নারকেল তেল, ভিটামিন সি বা এমন কোনও উপাদান, যা ত্বককে বাড়তি আর্দ্রতা জোগাতে সক্ষম। বাজারচলতি রকমারি মিস্ট পাওয়া যায় ঠিকই, তবে ত্বকের ধরন অনুযায়ী তা বানিয়ে নেওয়া যায় বাড়িতেও।
ভিটামিন সি: ত্বক টানটান করতে এবং তার জেল্লা ধরে রাখতে ভিটামিন সি অত্যন্ত কার্যকর। আর্দ্রতা জোগাতেও তা সাহায্য করে। এক কাপ জবাফুলের চায়ে ১টি বা ২টি ভিটামিন সি ক্যাপসুলে থাকা তরল মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি বোতলে ঢেলে ফ্রিজে ভরে ঠান্ডা করে রাখুন। বাইরে বেরোনোর সময় সঙ্গে রাখলে রাস্তাঘাটেও ফেসিয়াল মিস্ট ব্যবহার করতে পারবেন।
নারকেল তেল এবং অ্যালো ভেরা: শুষ্ক ত্বকের জন্য এই ধরনের ফেসিয়াল মিস্টও বিশেষ কার্যকর। ১ চামচ অ্যালো ভেরা এবং নারকেল তেল আধ কাপ জলের সঙ্গে মিশিয়ে স্প্রে বোতলে ভরে রাখুন। সারা দিনে বার দুয়েক তা ব্যবহার করতে পারেন।
চালের জল: ত্বক হোক বা চুল, চালের জল দিয়ে রূপচর্চার রীতি চিন, জাপানে বেশ জনপ্রিয়। চাল ধুয়ে তা জলে কয়েক ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। মিশিয়ে নিন ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল। এই মিশ্রণটি বোতলে ভরে মিস্ট হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন। ময়েশ্চারাইজ়ার, ক্রিম ব্যবহার করতেই হবে। তারই সঙ্গে এই মিস্ট ব্যবহার করলে ত্বকের শুষ্ক ভাব উধাও হবে নিমেষে।