Unique tradition of Narajole Rajbari where Women are refrained from worshiping Durga dgtl
Durga Puja in Narajole Rajbari
মাতৃশক্তির আরাধনায় ব্রাত্য নারীরাই, নাড়াজোল রাজবাড়ির এই রীতি অবাক করে সকলকে
এখানকার পুজোয় নারীশক্তির অধিষ্ঠাত্রী দেবী দুর্গার আরাধনা থেকেই বিরত থাকেন মহিলারা।
আনন্দ উৎসব ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০২৪ ১০:৩০
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১০৮
শহরের থিম পুজোর জাঁকজমক থেকে বহু দূরে এমন কিছু বনেদি পুজো আছে, যেগুলি বরাবর মানুষের নজর কেড়েছে তাদের উদযাপনের অনন্য আচার, রীতিনীতির জন্য
০২০৮
তেমনই এক শারদোৎসব পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরে নাড়াজোল রাজবাড়ির পুজো। কারণ, এখানকার পুজোয় নারীশক্তির অধিষ্ঠাত্রী দেবী দুর্গার আরাধনা থেকেই বিরত থাকেন মহিলারা।
০৩০৮
৬০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে দাসপুরের নাড়াজোল রাজবাড়িতে এই অদ্ভুত রীতি মেনে পূজিত হয়ে আসছেন দেবী দুর্গা। এখানে পুষ্পাঞ্জলি থেকে শুরু করে প্রসাদ গ্রহণ– কোনও কিছুতেই নারীরা অংশগ্রহণ করতে পারেন না।
০৪০৮
কথিত আছে, বর্ধমানের রাজপরিবারের নায়েব উদয়নারায়ণ ঘোষ ৮২০ বঙ্গাব্দে এই নাড়াজোল রাজবাড়ির প্রতিষ্ঠা করেন।
০৫০৮
এক দিন শিকার সেরে বাড়ি ফেরার পথে দাসপুরের নাড়াজোল জঙ্গলে একটি আশ্চর্য ঘটনার সাক্ষী হন তিনি। দেখেন, একটি বাজপাখিকে তাড়া করছে একটি বক। এই অদ্ভুত কাণ্ড দেখে স্তম্ভিত হন তিনি।
০৬০৮
বাড়ি ফিরে সে রাতে স্বপ্নাদেশ পান উদয়নারায়ণ। সেই মতো ফের ওই জঙ্গলে গিয়ে অষ্টধাতুর একটি দুর্গামূর্তি উদ্ধার করেন তিনি। সে বছরই শুরু হয় এই দুর্গাপুজো।
০৭০৮
উদয়নারায়ণের আদেশ মেনে আজও রাজবাড়িতে পূজিতা হন অষ্টধাতুর দেবীমূর্তি। বৈষ্ণব মতে পুজো হওয়ার কারণে নিষিদ্ধ রয়েছে বলিপ্রথা।
০৮০৮
কলকাতার উদযাপন থেকে দূরে বনেদি পুজোর স্বাদ পেতে এক বার ঘুরে আসতেই পারেন নাড়াজোল রাজবাড়ির এই পুজো থেকে।