Advertisement

Associate Partner

Style Partner

Associate Partner

Weddings Partner

Food Partner

UK

ওয়েবসাইট দেখেই বিলেতের পুজো ঘুরলেন দর্শনার্থীরা

সাত সাগর পেরিয়ে বিদেশেও এই আগমনীর সুর বাজে নিজস্ব ছন্দে। ইউকে তথা বিলেতের বাঙালিরাও এর ব্যত্যয় নন।

বিলেতের পুজোয় সাবেকিয়ানার ছোঁয়া। —নিজস্ব চিত্র।

বিলেতের পুজোয় সাবেকিয়ানার ছোঁয়া। —নিজস্ব চিত্র।

দেবার্ঘ্য চক্রবর্তী
শেষ আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০১৮ ১৫:১৮
Share: Save:

দুর্গাপুজোর আবেগ বাঙালির চিরন্তন। বছরের বাকি দিনগুলোও যার সঙ্গে শত্রুতা, আগমনীর আগমনে তার সঙ্গেও যেন অচিরেই সদ্ভাব করে নেওয়া যায়। ‘বাঙালিরা মিলেমিশে কোনও কাজ করতে পারে না’- এই প্রচলিত ধারণা মিথ্যা হয়ে যায় দুর্গাপুজোর প্রাক্কালে এসে।

শুধু দেশেই নয়, সাত সাগর পেরিয়ে বিদেশেও এই আগমনীর সুর বাজে নিজস্ব ছন্দে। ইউকে তথা বিলেতের বাঙালিরাও এর ব্যত্যয় নন। এখানে এই বছর প্রায় ৬১ টি সংগঠন দুর্গোৎসব এর আনন্দে মেতে উঠেছে। পুজো শুরু হয়েছে ১২ অক্টোবর, চলবে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত।

এই ৬১ টি পুজোর স্থান, সময়সূচি, এবং যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়ে নির্মিত হয়েছে এক ওয়েবসাইট যেখানে এক নিমেষে পাওয়া যাবে সব পুজোর বিস্তারিত বিবরণ। বিলেতের ছোট-বড় প্রায় সমস্ত পুজো সংগঠকরা তাঁদের নিজস্ব দক্ষতায় সহযোগিতা করেছেন এই ওয়েবসাইট নির্মাণে। এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সহজেই পুজোর নির্ঘণ্ট থেকে শুরু করে যাবতীয় খুঁটিনাটি জানা হবে। যাতে বিশেষ উপকার হবে দর্শনার্থীদের।

আরও পড়ুন: মালিগাঁওতে আগাগোড়া বাঙালিয়ানার ছোঁয়া

মানচিত্রই জানান দেবে কোথায় কী কী পুজো। —নিজস্ব চিত্র।

লন্ডন এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকাতে পুজোর সংখ্যা প্রায় কুড়ি। এই ওয়েবসাইটে আরও পাওয়া যাবে গত বছর এবং এই বছরের পুজোর ক্যামেরাবন্দি কিছু মুহূর্তও। এ ছাড়াও আছে পুজোর আনন্দে মেতে ওঠা সৃজনশীল বাঙালিদের গান, কবিতা, নাচ আর আঁকিবুকি।

এই অনবদ্য ও অভিনব প্রয়াসের সূচনা হয় গত বছরেই। সৌজন্যে বর্ধমানের ছেলে সুমিত কোনার। তিনি এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়নে পোস্ট ডক্টরেট করছেন। ২০১৭ সালেই সুমিত গুগল ম্যাপে পুজোর সব স্থানগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করেন। তাঁর এই প্রয়াস ভীষণ সমাদর লাভ করে বিলেতে। এ বছর তাই নতুন উদ্যোগে সুমিত আরও এক ধাপ এগিয়ে ওয়েবসাইট বানানোর ভাবনা-চিন্তা শুরু করেন।

আরও পড়ুন: ফাইবার-রূপেই সংস্থিতা

দেবী আরাধনায় মেতেছে বিলেতও। —নিজস্ব চিত্র।

সুমিতকে এই ওয়েবসাইট নির্মাণে সহযোগিতা করেছে এডিনবরার এক দম্পতি, অভিরূপ ঘোষ এবং মৈত্রী রায়। অভিরূপ বর্তমানে এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করছেন। আর মৈত্রী পেশায় তথ্যপ্রযুক্তিবিদ। ওঁদের দু’জনের বাড়ি বাঁকুড়া। অল্প সময়ের মধ্যে অনেক পরিশ্রম আর যত্ন করে এই তিন জনের সম্মিলিত প্রচেষ্টা মিলিয়ে দিয়েছে ইউকে-র সব বাঙালি-অবাঙালিকে। এ বার বিলেতে দুর্গাপুজো তাই আরও আকর্ষণীয়।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE