এসেক্সে বাঙালিদের দুর্গাপুজো।
তিন বছরে পা দিল এসেক্স-এর দুর্গাপুজো। নিজেদের ছোটবেলার স্মৃতি আর ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বাঙালিয়ানার সঙ্গে যুক্ত করার ইচ্ছে থেকে এসেক্স দুর্গাপুজোর জন্ম।লন্ডনের শহরতলির বাসিন্দারা এ পুজোকে আমাদের সকলের পুজো বলে মনে করেন। তাই এ পুজোয় বাঙালিবাবুর পাঞ্জাবি ঘরণী তাঁর মরাঠি, দক্ষিণী বান্ধবীদের নিয়ে আগমনী গানে মেতে ওঠেন। মরাঠি ঘরণী পটুয়ার আঁকা ছবি কী ভাবে সাজানো হবে তাই নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। আড্ডা দিতে দিতে নাইজেরিয়ান সমাজসেবী এসে বলেন তাঁদের দেশের ইতিহাসের কথা। আর ও দিকে বাঙালিবাবু বিবি আবৃত্তি করেন রবীন্দ্রনাথের ‘আফ্রিকা’, ইংরেজি আর বাংলায়।
পুজো এ বার হবে রোমফোর্ডের সন্ত জন’সহলে। উনিশ থেকে একুশে অক্টোবর।পাঁজি অনুযায়ী মা’র অর্চনা করতে যতদিন ছুটির দরকার ঠিক ততদিন জোগাড় করা কর্মকর্তাদের পক্ষে মুশকিল। অগত্যা উইকএন্ডের পুজো।বাঙালির ভোগের খিচুড়ি সাহেবদেরও বড় পছন্দের।কালীঘাটের পটুয়াপাড়ার ছবি দিয়ে সেজে উঠবে ঘর, থাকছে নিউ মার্কেট, গঙ্গার ঘাট,উত্তর কলকাতার গলি,ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল,দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের বিশাল বিশাল স্মৃতির ছবিও।
ইংল্যান্ডের আকাশে এ বছর অক্টোবরে সত্যি সত্যি সাদা মেঘের ভেলা,গাড়ি চালিয়ে গ্রামের ভিতর দিয়ে যাওয়ার সময় চোখে পড়ছে কাশফুলের ঝাড়, মোটরওয়ে দিয়ে যাওয়ার সময় আকাশে উড়ে যাওয়া পরিযায়ী পাখির দল মনে করিয়ে দিচ্ছে পুজোর গন্ধ এসেছে।কলকাতার ছেলে বিদেশের প্রতিষ্ঠিত ডাক্তারবাবুর পাঠ্যপুস্তক এখন ‘পুরোহিত দর্পণ’!
আরও পড়ুন: কুংফু-র দেশে মহিষাসুরমর্দিনীর বন্দনা
আরও পড়ুন: সংস্কৃতে ডক্টরেট পুরোহিতমশাই এ বারও দিল্লি থেকে আসছেন সাগর পেরিয়ে
এবছর নাতি-নাতনিরা উদ্যোগী হয়েছে এক অভিনব প্রকল্পে, গ্র্যান্ড কানেকশন। গ্র্যান্ড চিলড্রেনরা গ্র্যান্ড পেরেন্টসদের পছন্দের দেশের চ্যারিটির জন্য টাকা তুলবে বিদেশের পুজোয়, সবাইকে জানাবে তাদের প্রিয় মানুষদের প্রিয় শখের কথা।
ছবি: পুজো উদ্যোক্তাদের সৌজন্যে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy