প্রতীকী ছবি।
করোনা অতিমারি পর্বে চাকুরিজীবীদের জন্য বাড়ি থেকে কাজের (ওয়ার্ক ফর্ম হোম) নতুন ধারা তৈরি হয়েছে। সংক্রমণ মোকাবিলা করতে অফিস গিয়ে নয়, বাড়ি থেকেই চলেছে কাজকর্ম। ভাইরাসের সঙ্গে মানবজাতির লড়াই অনেকটাই থিতু হয়েছে। ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে সব কিছু। তবুও বাড়ি থেকে কাজ করতে অনেক কর্মী স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন। অনেক সংস্থা আবার বাড়ি থেকে কাজ করার বিরুদ্ধে। এই প্রেক্ষাপটে বাড়ি থেকে কাজের আইনি অধিকার দিতে উদ্যোগী নেদারল্যান্ডস।
গত সপ্তাহেই ডাচ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে এ নিয়ে বিল পাশ হয়েছে। সেনেটের অনুমোদন মিললে বাড়ি থেকে কাজের বিষয়টি আইনি স্বীকৃতি পাবে।
বর্তমানে নেদারল্যান্ডসে কোনও কর্মী বাড়ি থেকে কাজের আবেদন জানালে সংশ্লিষ্ট সংস্থা তা গ্রহণ না-ও করতে পারে। নতুন আইন প্রণয়ন হলে, এই ধরনের অনুরোধ সংস্থাকে রাখতেই হবে। যদি কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজে আপত্তি জানায় সংস্থা, তা হলে উপযুক্ত কারণ দর্শাতে হবে।
অনেকের মতে, সামান্য জ্বর বা শারীরিক অসুস্থতা হলে অনেক কর্মীই অফিসে গিয়ে কাজ করতে সক্ষম হন না। কিন্তু তাঁরা যদি বাড়ি থেকে কাজ করার সুবিধা পান, সে ক্ষেত্রে কাজের সমস্যা হয় না। যাতায়াতের সময় ও খরচ দুটোই বাঁচে। আবার কর্মীদের একাংশের মতে, বাড়ি থেকে কাজ করলে সমন্বয়ের অভাবও দেখা যায়। তাতে কাজ করতে গিয়ে অসুবিধা হয়।
সে কারণেই নেদারল্যান্ডস ফ্লেক্সিবেল ওয়ার্কিং অ্যাক্ট ২০১৫ সংশোধন করা হচ্ছে। অন্য দিকে, করোনা অতিমারি পর্ব কাটিয়ে বিশ্বের বহু সংস্থাই তাঁদের কর্মীদের অফিসে ফেরানোর ব্যাপারে উদ্যোগী। এই সময়ে দাঁড়িয়ে বাড়ি থেকে কাজকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়ার ব্যাপারে যে পদক্ষেপ করতে চলেছে নেদারল্যান্ডস, তা উল্লেখযোগ্য বলে মনে করা হচ্ছে।