আচারের ব্যবসা করে লক্ষ লক্ষ টাকা কামাচ্ছেন এক মহিলা। প্রতীকী ছবি।
করোনা অতিমারি পর্বে স্বামীর চাকরি চলে যাওয়ায় অর্থাভাবে দীর্ণ হয়ে পড়েছিল তাঁর সংসার। কোলের ছ’মাসের ছোট্ট সন্তানের জন্য দুধ কেনার টাকাও তাঁর কাছে ছিল না। কিছু না থাকা থেকে নতুন করে পথচলা শুরু করেছিলেন তিনি। বর্তমানে বাংলাদেশের শ্রীপুরের সেই মাসুমাই লাখপতি।
মাত্র ৩০০ টাকা হাতে নিয়ে ব্যবসা শুরু করেছিলেন। আর এখন তাঁর সেই ব্যবসা ফুলেফেঁপে উঠেছে। প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা রোজগার করছেন ওই মহিলা। তাঁর এই উত্থানের কাহিনি যে কারও কাছেই অনুপ্রেরণা জোগাবে।
বাংলাদেশের সংবাদপত্র প্রথম আলো জানিয়েছে, মাংসের আচারের ব্যবসা করেই ভাগ্যের চাকা ঘুরে যায় মাসুমার। তার পর থেকেই সেই ব্যবসা তিল তিল করে বাড়িয়ে তোলেন। তাঁর উত্থানের কাহিনিও বেশ চমকপ্রদ।
অতিমারির সময় স্বামীর চাকরি চলে যাওয়ায় রাতারাতি অর্থকষ্টে জেরবার হয়ে গিয়েছিল মাসুমার পরিবার। সংসারের চাকা কী ভাবে ঘোরাবেন, এ ভাবনা থেকেই ব্যবসা করার তাগিদ চাপে তাঁর মনে। সেই সময় তাঁর আরও এক সন্তান যেন সেই দিশা দেখায়। মাসুমার ছোট্ট কন্যাসন্তান টাকা জমাত ‘লক্ষ্মীর ভাঁড়ে’। তাতে জমা পড়েছিল মোট ৩৬৫ টাকা। সেখান থেকে ৩০০ টাকা নিয়ে বাজার থেকে আলু কিনেছিলেন মাসুমা। তার পর চিপস বানিয়ে ব্যবসায় হাতেখড়ি হয় তাঁর।
এর পর তাঁতের শাড়িরও ব্যবসা করেছেন তিনি। তবে তাঁর ‘লক্ষ্মীলাভ’ হয় মাংসের আচারের ব্যবসা করে। এই ব্যবসা করেই এখন প্রতি মাসে দেড় থেকে দু’ লাখ টাকা রোজগার করেন মাসুমা। তাঁর এই ব্যবসায় ১৫-১৬ জন কর্মীও রয়েছেন। যাঁরা মাসুমার এই ব্যবসার বাড়বাড়ন্তে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন।