—প্রতীকী ছবি।
অসুস্থ শরীর নিয়ে বিমানে যাত্রার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তরুণী। কিন্তু বিমানে ওঠার পর অন্য যাত্রীদের ‘অসুবিধা’ করছিলেন তিনি। বিমান ওড়ার ঠিক আগের মুহূর্তে বার বার শৌচালয়ে যাচ্ছিলেন তরুণী। ফলে বিমান নির্দিষ্ট সময় উড়তে পারছিল না। তরুণীর অসুস্থতার কারণে অন্য যাত্রীদের যেন কোনও রকম অসুবিধার সম্মুখীন হতে না হয় সে কারণে তরুণীকে বিমান থেকে নামিয়ে দিলেন বিমানকর্মীরা। গত শনিবার মেক্সিকোর বিমানবন্দরের ঘটনা। তরুণীর নাম জোয়ানা চিউ।
জোয়ানার সঙ্গে যা যা ঘটেছে তা বিস্তারিত ভাবে নিজের এক্স হ্যান্ডলে (পূর্বতন টুইটার) পোস্ট করে জানিয়েছেন তরুণী। জোয়ানা পোস্টে লেখেন, ‘‘আমাকে ওয়েস্টজেট বিমান থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। কারণ আমি অসুস্থ। পেট খারাপ হওয়ার কারণে বার বার শৌচালয় যাচ্ছিলাম। সে কারণে বিমান উড়তে দেরি হয়েছিল।’’
বিমান সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগও জানিয়েছেন ওই তরুণী। তাঁর দাবি, বিমান থেকে নামানোর পর সংস্থার তরফে কোনও হোটেলের ব্যবস্থা করা হয়নি। এমনকি পরবর্তী বিমানের টিকিটও বুক করেনি সংস্থা। সমাজমাধ্যমে এই অভিযোগই জানান তরুণী।
তাড়াহুড়ো করে বিমান থেকে নেমে যাওয়ার কারণে জোয়ানার কাছে টাকাপয়সাও ছিল না বলে দাবি করেন তিনি। জোয়ানা পোস্টে লেখেন, ‘‘আমার টাকার ব্যাগ বন্ধুর কাছে থেকে গিয়েছে। কিছুই করতে পারছি না। বিমানকর্মীরা আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছেন। কোথাও সাহায্য পাচ্ছি না।’’
জোয়ানার অভিযোগ, তাঁকে নাকি এক বিমানকর্মী হুমকিও দিয়েছিলেন। তিনি এই ঘটনার একটি ভিডিয়ো তৈরি করে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছিলেন। জোয়ানার একটি পোস্টে লেখা রয়েছে, ‘‘আমাকে ভয় দেখানো হয়েছে যে ভিডিয়োটি মুছে না দিলে আমাকে সাহায্য করা হবে না।’’
বিমানবন্দর থেকে নিকটবর্তী হোটেলে পৌঁছতে ২০ মিনিট সময় লাগত কিন্তু বিমান সংস্থার তরফে কোনও গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়নি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জোয়ানা। পরে অবশ্য নিজের নিরাপত্তার কথাও জানিয়েছেন তরুণী।
বিমানসংস্থার তরফে এক্স-এ পোস্ট করা হয়, ‘‘আপনি আমাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করুন। আপনার পরিস্থিতির বিষয়ে সমস্ত তথ্য প্রদান করুন।’’ কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে তরুণী লেখেন, ‘‘আমি নিরাপদ রয়েছি। সুস্থ রয়েছি। আমাকে পরবর্তী বিমান বুক করে দেওয়া হয়েছে। তবে আমি সকলকে অনুরোধ করব যে শরীর খারাপ নিয়ে কেউ বিমানে যাতায়াত করবেন না। নিজের সঙ্গে সব সময় ওষুধ, জরুরি কাগজপত্র, পাসপোর্ট এবং টাকাপয়সা রাখবেন।’’
সমাজমাধ্যমে জোয়ানার একাধিক পোস্ট দেখে নেটনাগরিকদের একাংশ বলেন, ‘‘বিমান সংস্থা উচিৎ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এক জনের জন্য বাকিদের কেন হয়রান হতে হবে?’’ অনেকে আবার সহানুভূতি জানানোর পরিবর্তে জোয়ানাকে কটাক্ষ করেছেন। তাঁদের দাবি, ‘‘আমি জানি না আপনি ঠিক কতটা খারাপ ব্যবহার সহ্য করেছেন। তবে শরীর খারাপ নিয়ে যাত্রা করা ঠিক হয়নি আপনার।’’