রোগীদের ঠকানোর অভিযোগ বৃদ্ধার বিরুদ্ধে প্রতীকী ছবি।
মনোবিদ সেজে বছরের পর বছর রোগীদের ঠকানোর অভিযোগ উঠল এক বৃদ্ধার বিরুদ্ধে। ৬০ বছর বয়সি ওই বৃদ্ধা ব্রিটেনের আদালতে কড়া শাস্তির মুখে। ম্যাঞ্চেস্টার ক্রাউন আদালতে তাঁর বিচারপ্রক্রিয়া চলছে।
দীর্ঘ ২০ বছর ধরে ব্রিটেনে এক জন যোগ্যতাসম্পন্ন মনোবিদ হিসাবে কাজ করে এসেছেন জ়োলিয়া আলেমি। কিন্তু সম্প্রতি ফাঁস হয়েছে তাঁর আসল কীর্তি। অভিযোগ, তিনি আদৌ ডাক্তার নন। ডাক্তারির যোগ্যতাও নেই তাঁর। যে শংসাপত্র দেখিয়ে ব্রিটেনের ন্যাশনাল হেল্থ সার্ভিসে (এনএইচএস) চাকরি করতেন তিনি, তার সবই ভুয়ো। জাল সার্টিফিকেট তৈরি করে রোগীদের ঠকিয়ে ২০ বছরে প্রচুর টাকা রোজগার করেছেন জ়োলিয়া।
মামলাকারীর অভিযোগ, এই দুই দশক ধরে এক মিলিয়ন ইউরো (ভারতীয় মুদ্রায় ৮ কোটি ১৬ লক্ষ টাকা) রোজগার করেছেন জ়োলিয়া। তিনি এনএইচএস-এ যে শংসাপত্র দেখিয়েছিলেন, তাতে লেখা ছিল নিউ জ়িল্যান্ডের অকল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ডাক্তারি পাশ করেছেন। অভিযোগ, অকল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই শংসাপত্র ছিল জাল।
মামলাকারীর আরও অভিযোগ, ডাক্তারির পরীক্ষায় ফেল করেছেন জ়োলিয়া। তার পরেই জাল শংসাপত্র বানিয়ে মনোবিদ হিসাবে নিজেকে পরিচিত করেন। কেউ এত দিন তাঁর কীর্তি ধরতেই পারেননি।
ব্রিটেনে সরকারি হিসাবে নথিভুক্ত ডাক্তার হতে দরকার মেডিসিন এবং সার্জারিতে ন্যূনতম ব্যাচেলর ডিগ্রি। তার আগে দীর্ঘ ৬ বছর ডাক্তারি শিক্ষাও আবশ্যিক। অভিযোগ, জ়োলিয়া মেডিসিনে ব্যাচেলর ডিগ্রির জন্য পড়াশোনা করেন। প্রথম ধাপে পাশও করেছিলেন। কিন্তু পরে চূড়ান্ত পর্যায়ের পরীক্ষায় আর পাশ করতে পারেননি।
ইরানে জন্ম হলেও খাতায়কলমে নিউ জ়িল্যান্ডের নাগরিক জ়োলিয়া। কর্মসূত্রে ব্রিটেনে থাকতেন। সে দেশের আদালতেই এ বার কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে।