জাকির হোসেনের কারখানা এবং দফতরে তল্লাশি আয়কর দফতরের। ফাইল চিত্র।
কুবেরের ধন মিলল রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের বিড়ি কারখানা, গুদাম এবং চালকল থেকে। এমনটাই জানা গিয়েছে, আয়কর দফতর সূত্রে। ওই সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বুধবার থেকে জাকিরের বিড়ি কারখানা এবং তাঁর দফতর-সহ বিভিন্ন এলাকায় চলছিল আয়কর তল্লাশি। আয়কর দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, তল্লাশিতে মিলেছে ১৫ কোটি টাকা। আয়কর দফতর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, উদ্ধার হওয়া ১৫ কোটি টাকার মধ্যে কেবল মাত্র একটি জায়গা থেকেই মিলেছে ৯ কোটি টাকা। এ ছাড়া গোডাউনে হানা দিয়েও উদ্ধার করা হয়েছে ২ কোটি টাকা। জাকির অবশ্য জানিয়েছেন, গত ২৩ বছর ধরে তিনি আয়কর দিয়ে আসছেন।
আয়কর দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, তল্লাশি হয়েছে মুর্শিদাবাদ এবং কলকাতা মিলিয়ে ২৮টি স্থানে। বিষয়টি জানানো হয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকেও। বুধবার থেকে তল্লাশি শুরু হয় জাকিরের কারখানা, দফতর এবং গুদামে। আয়কর হানা নিয়ে জাকির বলেন, ‘‘ওঁরা আসতেই পারেন। তবে আসার পদ্ধতিটা অন্য রকম হওয়া উচিত ছিল। কারণ আধাসেনা আনা হয়েছে। কিন্তু আমি তো কোনও অপরাধী নই। আমি এক জন ব্যবসায়ী এবং আমি পশ্চিমবঙ্গের এক জন বিধায়ক। আমি চাই, সামাজিক ভাবে আসুন ওঁরা। ওঁরা আমাদের সময় দিলেন না। কারণ আমাদের সব সময় হিসাবরক্ষক থাকেন এমন নয়। এটা আমাদের হেনস্থা করা ছাড়া আর কিছু নয়। আমরা আশা করিনি যে এ ভাবে অভিযান হবে।’’ তিনি আরও দাবি করেছিলেন, গত ২৩ বছর ধরে তিনি আয়কর দিয়ে আসছেন।
বুধবার দুপুরে মুর্শিদাবাদের সুতির বিধায়ক জাকিরের শিব বিড়ি, সামশেরগঞ্জের আনন্দ বিড়ি কারখানা এবং বিজলি বিড়ি কারখানায় হানা দেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। দফায় দফায় তল্লাশি চলে বিভিন্ন এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার বেলা ১১টা নাগাদ সুতিতে প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বর্তমান তৃণমূল বিধায়ক জাকিরের বাড়ি সংলগ্ন বিড়ি কারখানা এবং সামশেরগঞ্জের গোবিন্দপুরের আনন্দ কারখানায় হানা দেওয়া হয়। বিএসএফ জওয়ানরা ঘিরে ফেলেন কারখানার চারদিক। তার পর চলে তল্লাশি অভিযান। বিড়ি কারখানাগুলির নথিপত্র খতিয়ে দেখেন আধিকারিকরা।