Abu Mohammed al-Golani

আল-শাম নেতা গোলানির রণকৌশলেই সিরিয়ায় পিছু হটছে সেনা, প্রেসিডেন্ট আসাদের কুর্সি সঙ্কটে

৪২ বছরের গোলানি কিন্তু কট্টরপন্থী নন। তুরস্কের মদতপুষ্ট ‘সিরিয়ান ন্যাশনাল আর্মি এমনকি, কুর্দ জনগোষ্ঠীর সশস্ত্র সংগঠন ‘সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্স’-এর সঙ্গেও তাঁর সুসম্পর্ক রয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ২৩:০১
Share:

বাঁ দিকে আবু মহম্মদ আল-গোলানি, ডান দিকে বাশার আল আসাদ। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

তাঁর নিপুণ রণকৌশলে মাত্র তিন দিনের যুদ্ধে সিরিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর আলেপ্পো দখল করেছে বিদ্রোহীরা। এর পর ইদলিব প্রদেশের গুরুত্বপূর্ণ শহর মারাত আল নুমান দখল করে হামার দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছে ‘হায়াত তাহরির আল-শাম’ (এইচটিএস) এবং তাদের সহযোগী ‘জইশ আল-ইজ্জা’র যৌথবাহিনী। এইচটিএস কমান্ডার আবু মহম্মদ আল-গোলানির বাহিনীর এই অগ্রগতি শেষ পর্যন্ত রাজধানী দামাস্কাসে পৌঁছে যেতে পারে বলে গত এক সপ্তাহের ঘটনা পরম্পরা দেখে মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের অনেকে।

Advertisement

‘সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস’ বুধবার জানিয়েছে, বিদ্রোহী যোদ্ধারা হামা শহরের কয়েক মাইল উত্তরে পৌঁছে গিয়েছেন। মার শাহুর শহরতলিও এখন তাঁদের দখলে। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের অনুগত সেনারা প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে। তবে এখনও বিদ্রোহীদের অগ্রগতি রুখতে রাশিয়া বিমানহানা চালাচ্ছে অগ্রবর্তী বিদ্রোহী বাহিনীর উপর। কিন্তু গত এক সপ্তাহে আবুর যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে কোনও নির্ণায়ক জয় পায়নি আসাদের সেনা।

প্রসঙ্গত, এইচটিএস-এর আগে নাম ছিল নুসরা ফ্রন্ট। আমেরিকা, রাশিয়া -সহ আরও বেশ কিছু দেশ এদের জঙ্গি গোষ্ঠী বলে চিহ্নিত করেছে। তুরস্কের মদতেপুষ্ট আসাদ-বিরোধী বাহিনী সিরিয়ান ন্যাশনাল আর্মি (এসএনএ) ভেঙেই তৈরি হয়েছে এই গোষ্ঠী। অন্য দিকে, ‘জইশ আল-ইজ্জা’র সঙ্গে ‘সম্পর্ক’ রয়েছে জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের। ওই যৌথবাহিনীকে তুরস্ক মদত দিচ্ছে বলে আসাদ সরকারের অভিযোগ। ৪২ বছরের আবু কিন্তু কট্টরপন্থী নন। এমনকি, কুর্দ জনগোষ্ঠীর সশস্ত্র সংগঠন ‘সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্স’-এর সঙ্গেও তাঁর সুসম্পর্ক রয়েছে। তুরস্ক নিয়ন্ত্রিত ‘সিরিয়ান ন্যাশনাল আর্মি’র সঙ্গে সম্পর্ক ছেদের পরেও আঙ্কারার সঙ্গে সঙ্ঘাতের পথে হাঁটেননি তিনি।

Advertisement

২০১৬ সালে এইচটিএস প্রধান আবু মহম্মদ আল–জাওলানি নাকি প্রকাশ্যে আল–কায়েদার সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করার ঘোষণা করেছিলেন আবুর পরামর্শেই। গত ১৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে গৃহযুদ্ধ চলছে সিরিয়ায়। সেখানে যুযুধান বেশ কয়েকটি পক্ষ। ২০১১ সালে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আসাদের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলিকে মদত দিয়েছিল আমেরিকা। পরবর্তী সময়ে আইএসের বাড়বাড়ন্ত রুখতে নেটো বাহিনী হামলা চালিয়েছিল। সামরিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, গত কয়েক মাসে ইজ়রায়েলি বিমানহানায় আসাদ বাহিনীর অবস্থান দুর্বল হয়ে পড়েছে। তাই দামাস্কাস রক্ষার জন্য তাদের কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হতে পারে। সে ক্ষেত্রে পালাবদলের পর গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে আবুর ভূমিকা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement