আফগান সমস্যায় সঙ্কটজনক হয়ে উঠতে চলেছে বিশ্বের কোভিড পরিস্থিতি। ছবি- টুইটারের সৌজন্যে।
আফগানিস্তানের এখন যা অবস্থা তাতে সে দেশে কোভিড সংক্রমণ ফের বেড়ে যেতে পারে। কোভিড পরীক্ষা ও টিকাকরণের কাজে ব্যাঘাত ঘটবে বলে। পাশাপাশি, আফগানিস্তান থেকে যে ভাবে দলে দলে শরণার্থী বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছেন তাতে আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলিতে সংক্রমণ পরিস্থিতি হয়ে উঠতে পারে রীতিমতো সঙ্কটজনক।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র তরফে মঙ্গলবার এই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। জানানো হয়েছে, গত ১৫ অগস্ট কাবুল তালিবানের কব্জায় চলে যাওয়ার পর থেকে গত এক সপ্তাহে আফগানিস্তানে কোভিড পরীক্ষার হার একলাফে ৭৭ শতাংশ কমে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে যে হারে আফগান শরণার্থীরা বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ছেন আশ্রয় নিতে, তাতে গোটা বিশ্বেরই কোভিড পরিস্থিতি শীঘ্রই রীতিমতো নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। সেই দেশগুলিতেও কোভিড টিকার মজুতে টান পড়তে পারে।
হু-র পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় এলাকার দফতর এ-ও জানিয়েছে, আফগানিস্তানের জন্য বিভিন্ন দেশ থেকে গত দু’দশক ধরে চিকিৎসার সরঞ্জাম সংগ্রহ করত হু। তার পর সেগুলি পাঠানো হত আফগানিস্তানে। কিন্তু গত এক সপ্তাহ ধরে যা চলছে কাবুল বিমানবন্দরে তাতে হু-র পাঠানো চিকিৎসার সরঞ্জাম নিয়ে বিমান অবতরণ করতে পারছে না। অস্ত্রোপচারের যন্ত্রাদি-সহ ৫০০ টন ওজনের নানা ধরনের চিকিৎসার সরঞ্জাম কাবুল বিমানবন্দরে আটকে রাখা হয়েছে। অথচ, আর মাত্র এক সপ্তাহের মতো চিকিৎসার সরঞ্জাম মজুত রয়েছে আফগানিস্তানের হাসপাতালগুলিতে। সে ক্ষেত্রে তালিবরা বিমান অবতরণে বাধা দিলে আফগানিস্তানের হাসপাতালগুলির পরিস্থিতি হয়ে উঠতে পারে ভয়াবহ।
হু-র এক কর্তা জানিয়েছেন, আফগানিস্তানে স্বাস্থ্য পরিষেবার প্রায় ৯৫ শতাংশ ক্ষেত্রই এত দিন চালু ছিল। কিন্তু গত এক সপ্তাহে সেই পরিস্থিতি বদলেছে। হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে নার্স, আয়ারা আর আসতে চাইছেন না। আসতে চাইছেন না মহিলা চিকিৎসকও। এমনকি, মহিলা রোগীরাও হাসপাতালে গিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠার চেয়ে বাড়ির ভিতরেই রোগযন্ত্রণা ভোগ করা শ্রেয় মনে করছেন। তীব্র আতঙ্কে।