প্রতীকী ছবি।
হোয়াটসঅ্যাপে একই বিষয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা গ্রুপগুলিকে এক ছাতার তলায় আনার প্রক্রিয়া শুরু করল মেটা। এই গ্রুপ সমাহারের নাম দেওয়া হয়েছে ‘কমিউনিটি’।
ধরা যাক আপনি আপনার অফিসের কাজ সংক্রান্ত একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত। আবার অফিসেই কাজের বাইরেও কর্মীদের আরও কয়েকটি গ্রুপ রয়েছে। তার কয়েকটির সঙ্গে কাজের সম্পর্ক রয়েছে। কয়েকটির সঙ্গে নেই। কিন্তু সদস্য অল্পবিস্তর একই বা একই ধরনের। হোয়াটসঅ্যাপে এই সবক’টি গ্রুপ নিয়ে একটি কমিউনিটি তৈরির সুযোগ দেবে। এতে একদিকে যেমন অগোছালো হোয়াটসঅ্যাপ অনেকটা গোছানো থাকবে, তেমনই বিভিন্ন গ্রুপের ভিড়ে জরুরি গ্রুপের বার্তা খুঁজে পেতে ব্যবহারকারীদের হারিয়ে যেতেও হবে না। বৃহস্পতিবার রাতে ফেসবুকে নতুন এই পরিষেবার ঘোষণা করেছেন হোয়াটসঅ্যাপের মূল সংস্থা মেটার প্রধান মার্ক জাকারবার্গ। তিনি জানিয়েছেন, দীর্ঘ দিন ধরেই ব্যবহারকারীরা এ ব্যাপারে অনুরোধ করছিলেন। সে কথা মাথায় রেখেই এই জরুরি বদল।
কিন্তু কী কাজ হবে এই কমিউনিটির? হোয়াটসঅ্যাপের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, কমিউনিটি হবে গ্রুপগুলির প্রধান। যে কেউ কমিউনিটি তৈরি করতে পারবেন এবং তার সদস্য হওয়ার জন্য একাধিক গ্রুপকে আমন্ত্রণ জানাতে পারবেন। কিন্তু কোনও গ্রুপ কমিউনিটির সদস্য হতে চায় কি না তা নির্ধারণ করবেন ওই গ্রুপের অ্যাডমিন। তবে কমিউনিটির সদস্য হলেই ব্যবহারকারী সমস্ত গ্রুপের বার্তা দেখতে পাবেন তা নয়। কমিউনিটিতে থেকেও ব্যবহারকারী শুধু সেই গ্রুপের বার্তাই দেখতে পাবেন যেটির তিনি সদস্য।
তবে হোয়াটসঅ্যাপের নতুন পরিষেবা এখানেই থামছে না। কমিউনিটি পরিষেবার পাশাপাশি নতুন চারটি বৈশিষ্ট্য জুড়ছে হোয়াটসঅ্যাপে। এক, হোয়াটসঅ্যাপে এখন ফেসবুকের মতো যে কোনও বার্তায় প্রতিক্রিয়া জানানোর সুযোগ থাকছে। দুই, গ্রুপের যে কোনও বার্তা মুছে দিতে পারবেন অ্যাডমিন। তিন, হোয়াটসঅ্যাপে এখন ৩২ জনকে একসঙ্গে গ্রুপে রেখে ফোন করা যাবে। চার, ২ জিবি পর্যন্ত ফাইল শেয়ার করা যাবে।