ঢাকা বিমানবন্দরে সাংবাদিক সম্মেলন ইউনূসের। ছবি: রয়টার্স।
দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করাই হবে তাঁর প্রথম কাজ। বৃহস্পতিবার দুপুরে বাংলাদেশে ফিরেই দেশবাসীর উদ্দেশে এমনই বার্তা দিলেন নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূস। শুধু তা-ই নয়, দেশে আর কারও উপর হামলা হবে না বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। ইউনূসের কথায়, “আমার উপর আস্থা রাখুন। দেশে কারও উপর কোনও হামলা হবে না।”
‘প্রথম আলো’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ইউনূস ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতা’ হিসাবেও উল্লেখ করেছেন। আর এই স্বাধীনতা রক্ষা করার আহ্বানও জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, “এ স্বাধীনতা আমাদের রক্ষা করতে হবে।” বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় দুপুর ২টো ১০ মিনিটে প্যারিস থেকে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন ইউনূস। সেখানে আগে থেকেই হাজির ছিলেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। এ ছাড়াও অন্য দুই বাহিনীর প্রধানও হাজির ছিলেন। বিমানবন্দরে তাঁরা ইউনূসকে স্বাগত জানান।
তিন বাহিনীর প্রধান ছাড়াও ইউনূসকে স্বাগত জানাতে হাজির হয়েছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কেরা। বিমানবন্দরেই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ইউনূস। তাঁদের মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে শান্তি ফেরানোর বার্তা পৌঁছে দেন। নোবেলজয়ী বলেন, “আজ আমাদের গৌরবের দিন। যে বিপ্লবের মাধ্যমে নতুন বিজয় দিবস সৃষ্টি করল তরুণেরা, সেটাকে সামনে রেখে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। যারা এটা সম্ভব করেছে, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। তারা বাংলাদেশকে রক্ষা করেছে। পুনর্জন্ম দিয়েছে।”
ইউনূসের কথায় আন্দোলনে নিহত আবু সাঈদের প্রসঙ্গও উঠে এসেছে। এর পরই তিনি আগের সরকারের সমালোচনা করেন। সেই সরকারকে দমনপীড়নের যন্ত্র বলেও আক্রমণ করেছেন ইউনূস। তাঁর কথায়, “সরকারকে দেখে মানুষ উৎফুল্ল হবে। যে সরকার মানুষকে রক্ষা করবে। আমাদের সারা বাংলাদেশ একটা পরিবার।”
স্থানীয় বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত ৮টা নাগাদ ঢাকার বঙ্গভবনে অন্তর্বর্তিকালীন সরকারের শপথ অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বুধবার সাংবাদিক সম্মেলনে সেনাবাহিনীর প্রধান জানিয়েছিলেন, অন্তর্বর্তিকালীন সরকারের সদস্যসংখ্যা ১৫ জনের মতো হতে পারে।