বৃহস্পতিবার ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: রয়টার্স।
প্যারিস থেকে বাংলাদেশে ফিরলেন মুহাম্মদ ইউনূস। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় দুপুর ২টো ১০ মিনিটে তিনি ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন। সেখানে তাঁকে স্বাগত জানান সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান এবং আরও অনেকে। এ ছাড়াও সেখানে উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কেরা।
বিমানবন্দরে নেমে ইউনূস বলেন, “নতুন বিজয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ নতুন বিজয় দিবস শুরু করল। আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। যারা এটি করেছে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা, তারা (সমন্বয়কেরা) দেশকে রক্ষ করেছে। দেশকে পুনর্জন্ম দিয়েছে। আজকে আমার আমার আবু সাঈদের কথা মনে পড়ছে। যে আবু সাঈদের কথা দেশের প্রতিটি মানুষের মনে গেঁথে আছে।”
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইউনূসের দেশে ফেরার সময় বিবেচনা করে বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত ৮টা নাগাদ ঢাকার বঙ্গভবনে অন্তর্বর্তিকালীন সরকারের শপথ অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বুধবার সাংবাদিক সন্মেলনে সেনাবাহিনীর প্রধান জানিয়েছিলেন, অন্তর্বর্তিকালীন সরকারের সদস্য ১৫ জনের মতো হতে পারেন। তবে এই তালিকায় কারা রয়েছেন সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু জানানো হয়নি। নতুন সরকারের সদস্যদের বেছে নিতে বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে বলে জানান পড়ুয়ারা। সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনার জন্য তৈরি করা হয়েছে ‘লিয়াজোঁ কমিটি’।
এই কমিটি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠনের সঙ্গে কথা বলে ১৫ জনের নামের বিষয়ে ‘ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা’র চেষ্টা করছে। এই প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র মাহফুজ আলম ‘প্রথম আলো’কে বুধবার বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকারের প্রস্তাব নিয়ে বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে। সরকারে কারা থাকতে পারেন, কত জন থাকতে পারেন, এই সব নিয়ে আলোচনা চলছে। কোন রূপরেখা এবং কাজের ভিত্তিতে দফতর ভাগ হবে, কী হবে না হবে, সেটি মুহাম্মদ ইউনূস আসার পর তাঁর সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করা হবে।”