কী শর্ত রেখেছেন ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। ছবি: রয়টার্স।
গাজ়ায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা চলছে। তার সঙ্গে ইজ়রায়েল এবং হামাস দু’পক্ষই নিজেদের মতো শর্ত আরোপ করেছে। ফলে যুদ্ধবিরতি এবং পণবন্দিদের মুক্তির বিষয়টি শুক্রবার পর্যন্ত পিছিয়ে গিয়েছে বলে বেশ কয়েকটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।
হামাসের হাতে বন্দি হয়েছিলেন ২৪০ জন। তাঁদের মধ্যে কয়েক জন আমেরিকার নাগরিকও রয়েছেন। আগেই চার জনকে মুক্তি দিয়েছিল হামাস। এক সেনাকে হামাসের হাত থেকে উদ্ধার করে আনা হয়েছিল। হামাসের হাতে এখনও বন্দি প্রায় দু’শো জন। বন্দিদের অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করার জন্য মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে ইজ়রায়েল। বুধবার ইজ়রায়েলের প্রতিরক্ষা পরিষদের প্রধান তজাচি হানেগ্ভি জানিয়েছেন, বন্দিদের মুক্তির বিষয়টি নিয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। প্রাথমিক ভাবে আলোচনা এবং সমঝোতার ভিত্তিতে এই প্রচেষ্টা চালানো হবে। তবে আপাতত শুক্রবার পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া পিছিয়ে গিয়েছে।
বেশ কয়েকটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, হামাসের দাবি, ইজ়রায়েলের জেলে বন্দি ১৫০ প্যালেস্টাইনিকে মুক্তি দিতে হবে। তার বদলে চার দিনে ৫০ জন পণবন্দিকে ছাড়া হবে। শুধু তাই-ই নয়, তারা শর্ত দিয়েছে, প্রতি এক জন পণবন্দি পিছু তিন জন প্যালেস্টাইনিকে মুক্তি দিতে হবে। তবে হামাসের এই শর্তে ইজ়রায়েল রাজি হবে কি না, তা নিয়েই জোর চর্চা চলছে। হামাসের এই শর্ত তাঁরা মেনে নেবেন, না কি নেবেন না, এ বিষয়ে স্পষ্ট কোনও ইঙ্গিত না দিলেও ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু আবার পাল্টা শর্ত হামাসের সামনে রেখেছেন।
নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, প্রতি ১০ জন পণবন্দির মুক্তিতে অতিরিক্ত এক দিন যুদ্ধবিরতি রাখা হবে। নেতানিয়াহুর এই শর্তে হামাস কি রাজি হবে, এখন সে দিকেই তাকিয়ে আন্তর্জাতিক মহল।