কোভিডের নয়া রূপ নিয়ে বাড়ছে আতঙ্ক। ফাইল চিত্র।
ডেল্টা, ডেল্টা প্লাসের পর এ বার ওমিক্রন। বিশ্ব জুড়ে নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে করোনার এই নয়া রূপ। নাম বি.১.১.৫২৯। একে নিয়ে ভয়ের অন্যতম কারণ, বেশির ভাগ বিশেষজ্ঞের মতে কোভিড টিকার কার্যকারিতা রুখে দিতে পারে ভাইরাসের এই নতুন রূপ। দক্ষিণ আফ্রিকায় এই সপ্তাহে প্রথম চিহ্নিত হয়েছে বি.১.১.৫২৯ নামে এই নতুন রূপ। সন্দেহ করা হচ্ছে, নির্দিষ্ট কোনও এক রোগীর শরীরে মিউটেশন ঘটে রূপটি তৈরি হয়েছে। সম্ভবত, ওই রোগী এইচআইভি আক্রান্ত। এবং তিনি বিনা চিকিৎসাতেই ছিলেন।
দক্ষিণ আফ্রিকায় যত জন কোভিড সংক্রমিত হয়েছেন তাঁদের মধ্যে ৯০ শতাংশের দেহেই ওমিক্রন মিলেছে। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন জোহানেসবার্গে। সেখানে সংক্রমিতদের মধ্যে অধিকাংশই স্কুল এবং কলেজ পড়ুয়া। এখনও পর্যন্ত এ দেশে ওমিক্রনের খোঁজ না মিললেও উদ্বেগ বহু গুণে বাড়িয়েছে এই বিষয়টাই। কেননা, নয়া এই রূপ দেশে ঢুকে পড়লে ১৮ বছরের কমবয়সি এবং শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার ভয় সবচেয়ে বেশি। এই বয়সিদের এখনও টিকাকরণ শুরুই হয়নি ভারতে। ফলে তাঁদের নিয়ে ভাবতে শুরু করেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং চিকিৎসকরা। নয়াদিল্লি এমসের সেন্টার ফর কমিউনিটি মেডিসিনের চিকিৎসক সঞ্জয় রাই বলেন, ‘‘নতুন রূপ সম্পর্কে আমরা এখনও বিশেষ কিছু জানি না। অপেক্ষা করতে হবে। এমন সম্ভাবনা রয়েছে যে, টিকাকরণ বা সংক্রমণের ফলে শরীরে তৈরি হওয়া প্রতিরোধ ক্ষমতা হয়তো এই রূপকে রুখতে পারবে না। সত্যিই যদি তা হয়, সে ক্ষেত্রে বিষয়টি গুরুতর।’’
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
হংকং, ইজরায়েলে আফ্রিকা ফেরত পর্যটকের শরীরে মিলেছে এই ভাইরাস। ভারতের বিমানবন্দরে দক্ষিণ আফ্রিকা, বৎসোয়ানা, হংকং ফেরত যাত্রীদের কড়া স্ক্রিনিং শুরু হয়েছে। ব্রিটেন, সিঙ্গাপুর, ইজরায়েলের মতো দেশ দক্ষিণ আফ্রিকা, বৎসোয়ানা এবং আফ্রিকার আরও চারটি দেশের সঙ্গে বিমান যোগাযোগ বন্ধ করেছে। জার্মানি, ইটালিও দক্ষিণ আফ্রিকায় সফর নিয়ে কড়াকড়ি শুরু করেছে।