করোনার নয়া রূপ নিয়ে এতটাই ত্রস্ত নিউ ইয়র্ক যে, ৩ ডিসেম্বর থেকে সেখানে জারি হতে চলেছে জরুরি অবস্থা। এএফপি
ওমিক্রন-উদ্বেগ এ বার আমেরিকাতেও। করোনার নয়া রূপ নিয়ে এতটাই ত্রস্ত নিউ ইয়র্ক যে, ৩ ডিসেম্বর থেকে সেখানে জারি হতে চলেছে জরুরি অবস্থা। অতিমারির প্রথম দু’টি তরঙ্গের সময় যে সব বিধিনিষেধ জারি হয়েছিল, তেমন বিধিনিষেধ জারি হতে চলেছে নিউ ইয়র্কে। জরুরি নয়, এমন সব ক্ষেত্র চলে আসবে এর অধীনে। নিউ ইয়র্কের গভর্নর ক্য়াথি হোচুল বলেন, ‘‘শীতে এমনিতেই বাড়তে পারে করোনার প্রকোপ। তার মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় ওমিক্রন ছড়ানোর খবর পাওয়া যাচ্ছে। তবে এই রূপটি নিউ ইয়র্কে এখনও আসেনি। কিন্তু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবেই এই পদক্ষেপ করা হচ্ছে। কারণ আমরা দেখতে পাচ্ছি সে আসতে চলেছে।’’
করোনাভাইরাসের নতুন ‘বি.১.১.৫২৯’ রূপকে উদ্বেগজনক বা ‘ভেরিয়েন্ট অব কনসার্ন’ হিসেবে চিহ্নিত করে সেটিকে ‘ওমিক্রন’ নাম দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। নতুন এই রূপ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে দেশ-বিদেশের বিশেষজ্ঞদের। দক্ষিণ আফ্রিকা এবং বৎসোয়ানায় টিকাপ্রাপ্তরাই করোনার নতুন এই রূপটি দ্বারা সংক্রমিত হয়েছেন। শুক্রবার এই হু জানিয়েছে, নয়া রূপটির ভাবগতিক বুঝতে আরও কয়েক সপ্তাহ সময় লাগবে। তবে বিবৃতিতে তারা বলেছে, এই রূপটির বিপজ্জনক মিউটেশন ঘটেছে। বস্তুত, সেই কারণেই চিহ্নিত হওয়ার প্রায় সঙ্গে সঙ্গে ঝুঁকির সর্বোচ্চ ধাপে রাখা হল করোনার এই নয়া রূপকে।
দক্ষিণ আফ্রিকায় এখনও পর্যন্ত যত জন সংক্রমিত হয়েছেন, তাঁদের ৯০ শতাংশের শরীরেই ওমিক্রনের হদিশ মিলেছে। করোনার নতুন এই রূপ বেশি ছড়িয়েছে জোহানেসবার্গে। সেখানকার সংক্রমিতদের মধ্যে অধিকাংশই স্কুল-কলেজের পড়ুয়া। ফলে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, নয়া রূপের শিকার হচ্ছেন অল্পবয়সিরা।
এর থেকে শিক্ষা নিয়েই আগেভাগে পদক্ষেপ করল নিউ ইয়র্ক প্রশাসন।