ইরানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ছবি: পিটিআই।
ওয়াশিংটন সফরের কয়েক দিনের মধ্যেই তেহরান সফরে গিয়ে ইরানের বিদেশমন্ত্রী জাভেদ জ়ারিফের সঙ্গে আলোচনায় দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার দিকটি তুলে ধরলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। নয়া নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে সে দেশের ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের কাছেও ব্যাখ্যা দিলেন। চাবাহার বন্দরে সহযোগিতা আরও বাড়ানো নিয়েও কথা হয়েছে দুই নেতার মধ্যে।
কূটনৈতিক শিবিরের মতে, বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। আমেরিকা যখন ইরান থেকে তেল আমদানি নিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তখন এই দ্বিপাক্ষিক দৌত্য করে একটি নির্দিষ্ট বার্তাই দিতে চাওয়া হল নরেন্দ্র মোদী সরকারের পক্ষ থেকে। পাশাপাশি একটি মুসলিম রাষ্ট্রের কাছে নাগরিকত্ব আইন নিয়ে ব্যাখ্যা দেওয়াটাও দিল্লির অগ্রাধিকারের মধ্যে পড়ে। এ দিনই নাগরিকত্ব আইন ও অযোধ্যা রায় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মুসলিম দেশগুলির সংগঠন ‘অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কান্ট্রিজ’ (ওআইসি)। বৈঠকের পরে ইরানের বিদেশমন্ত্রীও টুইট করেছেন। জ়ারিফের বক্তব্য, ‘‘দু’দেশের মধ্যে আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে ভাল আলোচনা হয়েছে।’’