২০২০-তে হোয়াসং-১৭ ক্ষেপণাস্ত্র প্রকাশ্যে আনেন কিম। সামরিক বিশেষজ্ঞরা এই ক্ষেপণাস্ত্রকে ‘মনস্টার মিসাইল’-এর তকমা দিয়েছেন। সেই ক্ষেপণাস্ত্রেরই উৎক্ষেপণ করলেন কিম এবং তার আগে এ ভাবেই একটা নাটকীয়তা তৈরি করলেন তিনি।
অন্য রূপে উত্তর কোরিয়ার প্রশাসক কিম জং উন। ছবি: রয়টার্স।
স্লাইডিং দরজাটা ধীরে ধীরে খুলল। লেদারের কালো জ্যাকেট, কালো রোদচমশমা, পাশে দুই সেনা কর্তা। ধীর গতিতে সামরিক হ্যাঙার থেকে বেরিয়ে আসছেন তিনি। পিছনে দেখা যাচ্ছে ক্ষেপণাস্ত্র বহনকারী সামরিক গাড়ি। সেটিও ধীরে ধীরে এগিয়ে আসছে। এ ভাবেই অনেকটা হলিউডি ঢঙে ধরা দিলেন উত্তর কোরিয়ার প্রশাসক কিম জং উন। শুক্রবার উত্তর কোরিয়া সরকার কিমের সেই ভিডিয়ো প্রকাশ করেছে।
ভিডিয়োতে কিম জং-কে যেমন ফোকাস করা হয়েছে, তেমনই ফোকাস করা হয়েছে হোয়াসং-১৭ ক্ষেপণাস্ত্রটিকেও। আর ভিডিয়ো প্রকাশ করে উত্তর কোরিয়া আরও এক বার গোটা বিশ্বের কাছে তাদের শক্তির বার্তা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ভিডিয়োটি সম্পাদনা করে তাতে ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক জুড়ে, একটা নাটকীয়তা তৈরি করে প্রকাশ করা হয়েছে।
সামরিক শক্তির প্রদর্শন এর আগে অনেক বারই করেছেন কিম। কিন্তু এ বার যেন আরও এক ধাপ এগিয়ে রীতিমতো ফোটোশ্যুট করিয়ে বিশ্বের কাছে তাদের সামরিক শক্তির বার্তা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করলেন। তিনিই যে এই ‘তথ্যচিত্রের’ নায়ক, আর তাঁর ক্ষমতা কত, হোয়াসং-১৭ ক্ষেপণাস্ত্রের প্রদর্শনের মধ্য দিয়েই বোঝাতে চেয়েছেন।
২০২০-তে এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রকাশ্যে আনেন কিম। সামরিক বিশেষজ্ঞরা এই ক্ষেপণাস্ত্রকে ‘মনস্টার মিসাইল’-এর তকমা দিয়েছেন। সেই ক্ষেপণাস্ত্রেরই উৎক্ষেপণ করলেন কিম এবং তার আগে এ ভাবেই একটা নাটকীয়তা তৈরি করলেন তিনি।