ছবি —এএফপি।
আমেরিকার কাছে আরও অস্ত্র চেয়ে পাঠাল ইউক্রেন। কিভ-ক্রেমলিন সঙ্ঘাতের প্রথম থেকেই আমেরিকা-সহ বিভিন্ন দেশ থেকে সামরিক সাহায্য পাচ্ছে ইউক্রেন। তবে ইউক্রেনের জন্য আমেরিকা থেকে নেওয়া বিমান বিধ্বংসী এবং ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র সব থেকে ফলপ্রসূ হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তাই আমেরিকা থেকে আবারও ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র জ্যাভলিন এবং বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র স্টিঙ্গার চেয়ে পাঠাল জেলেনস্কি সরকার। রুশ আগ্রাসন রুখতে তাদের প্রতি দিন পাঁচশোটি করে জ্যাভলিন ও স্টিঙ্গার লাগবে বলে জানিয়েছে ইউক্রেন। আমেরিকার তরফ থেকে এই বিষয়টি স্বীকার করা হয়েছে। তারা অনুরোধে খতিয়ে দেখছে বলেও জানিয়েছে।
ইউক্রেন আগেই দাবি করেছিল যে, রাশিয়ার আগ্রাসনের মুখে পড়ে তাদের অস্ত্রে ঘাটতি পড়তে পারে। কিছু বিশেষ অস্ত্র তারা সাহায্যকারী দেশগুলি থেকে চেয়ে পাঠাবে বলেও জানিয়েছিল। আমেরিকা এবং নেটো দেশগুলিও ইউক্রেনকে আরও অস্ত্র পাঠানোর আশ্বাস দিয়েছে।
৭ মার্চের আগে পর্যন্ত আমেরিকা এবং অন্য নেটো দেশগুলি ইউক্রেনে প্রায় ১৭ হাজার ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র এবং দু’হাজার বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র পাঠিয়েছিল। সেই ভান্ডার ধীরে ধীরে ফুরোচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। সেই কারণে দু’সপ্তাহ যেতে না যেতেই আবার আমেরিকার কাছে অস্ত্র চাইল কিভ।
পাশাপাশি ব্রিটিশ সরকারও বুধবার ঘোষণা করেছে যে তারা ইউক্রেনে ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী এবং ভারী বিস্ফোরক-সহ আরও ছ’হাজার ক্ষেপণাস্ত্র পাঠাবে। পাশাপাশি ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীকে প্রায় ৩ কোটি ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২৫১ কোটি) আর্থিক সহায়তা দেবে।