Health

লুকোনো হচ্ছে না কিছুই: চিনফিং

নিজেদের দেশের নাগরিকদের বিমানে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে বেশ কয়েকটি দেশ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০২০ ০৪:০৪
Share:

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস অ্যাডহ্যানোম গ্যাব্রিয়েসাসের সঙ্গে বৈঠকে চিনা প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং।—ছবি রয়টার্স।

চিনের প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং মনে করেন তাঁরা এখন কার্যত ‘একটি দৈত্যের সঙ্গে লড়াই করছেন’। করোনাভাইরাস নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনায় দেশের অবস্থা এ ভাবেই ব্যাখ্যা করেছেন তিনি।

Advertisement

এই মারণ ভাইরাসের আক্রমণে মৃতের সংখ্যা আগেই ১৩০ ছাড়িয়েছে। উহান শহর এখনও তালাবন্দি। এই পরিস্থিতিতে আজ বেজিংয়ে চিনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস অ্যাডহ্যানোম গ্যাব্রিয়েসাস। চিনা সরকারি সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, টেড্রোসকে আশ্বস্ত করে চিনফিং বলেছেন, এই ভাইরাস নিয়ে যা যা রিপোর্ট তাঁরা পাচ্ছেন, তা সবই প্রকাশ্যে আনা হচ্ছে। বিশ্বের অন্য দেশগুলির কাছ থেকে কোনও তথ্য লুকনো হচ্ছে না। চিনফিং বলেছেন, ‘‘এই ভাইরাস আসলে দৈত্যাকার। চিনের মানুষ লড়াই করছেন। বিশ্বের থেকে এই দৈত্যকে লুকনোর ক্ষমতা নেই আমাদের।’’ ২০০২ সালে সার্সের সংক্রমণের সময়ে চিন সরকার যে গোপনীয়তা নিয়েছিল, এ বারের ছবিটা তার থেকে আলাদা বলে স্বীকার করছেন অনেকেই।

এরই মধ্যে নিজেদের দেশের নাগরিকদের বিমানে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে বেশ কয়েকটি দেশ। আজ উহানের পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে ২০৬ জন জাপানিকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে সে দেশের সরকার। চিনে বিমান চলাচল বন্ধ করেছে জার্মানি, অস্ট্রিয়া, সুইৎজ়ারল্যান্ডের বিমান সংস্থা। মার্কিন নাগরিকদের উদ্ধারে উদ্যোগী হয়েছে আমেরিকাও। তাদের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, রোগ মোকাবিলায় চিনকে তারা একাধিক বার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেও প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন। করোনাভাইরাসের টিকা তৈরির কাজও তারা শুরু করেছে বলে জানিয়েছে আমেরিকা। আজ থেকে চিনের সব চেয়ে বেশি সংক্রমিত হুবেই প্রদেশে সব ক’টি আউটলেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে একটি মার্কিন ফাস্ট ফুড চেন। পাকিস্তান জানিয়েছে, উহানে পাঠরত তাদের চার ছাত্রের দেহে ভাইরাসটির নমুনা মিলেছে। ওই চার জন চিকিৎসায় সাড়াও দিচ্ছেন।

Advertisement

তবে এর মধ্যে উদ্বেগ বেড়েছে জার্মানি এবং জাপানের দু’টি ঘটনায়। এত দিন পর্যন্ত চিন থেকে অন্য কোনও দেশে কেউ গেলে তাঁর থেকে সেই ভাইরাস সে দেশে ছড়াচ্ছিল। এ বার মানুষের সঙ্গে মানুষের সরাসরি যোগাযোগের ফলে করোনাভাইরাস ছড়ানোর কথা জানা গিয়েছে। জাপানে ষাট বছরের এক বৃদ্ধের শরীরে ওই ভাইরাস পাওয়া গিয়েছে। তিনি নিজে চিনে যাননি। কিন্তু উহান থেকে ফেরা কয়েক জন পর্যটক তাঁর ট্যাক্সিতে চড়েছিলেন সম্প্রতি। সেখান থেকেই ছড়ায় সংক্রমণ। জার্মানিতেও এক ব্যক্তি আক্রান্ত। তাঁর সহকর্মী সম্প্রতি চিন থেকে ফিরেছেন। তাঁর সঙ্গে কয়েক দিন কাজ করার পরেই অসুস্থ হন ওই ব্যক্তি।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ দ্রুত গতিতে ছড়ানো আটকাতে এ বার বেশ কয়েকটি উড়ান সংস্থা কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে। চিনগামী বিমানে যাত্রীদের কম্বল বা পুনর্ব্যবহারযোগ্য বেশ কিছু জিনিস দেওয়া আপাতত বন্ধ রাখছে তারা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement