পেটে আঘাত লাগার কারণেই পুতিন মলত্যাগ করে ফেলেন বলে দাবি করা হয়েছে।
বাড়ির সিঁড়ি থেকে পড়ে গিয়েছেন রাশিয়ার একনায়ক ভ্লাদিমির পুতিন। আর সিঁড়িতে পড়ে যাওয়ার পর প্যান্টেই মলত্যাগ করে ফেলেন রাশিয়ার ৭০ বছর বয়সি প্রেসিডেন্ট! পুতিনের নিরাপত্তা দলের টেলিগ্রাম চ্যানেলের সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে বলে জানিয়েছে আমেরিকার সংবাদমাধ্যম ‘নিউইয়র্ক পোস্ট’।
সূত্রের দাবি, পুতিনের পাকস্থলী ও অন্ত্রে ক্যানসার ধরা পড়েছে। আর তার জন্য গোপনে চিকিৎসাও করাচ্ছেন তিনি। পাকস্থলী ও অন্ত্র ক্যানসার আক্রান্ত হওয়ার কারণেই পড়ে গিয়ে পেটে আঘাত লেগে তিনি মলত্যাগ করে ফেলেন বলে ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।
গত মাসে কিউবার প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল দিয়াজ-ক্যানেলের বৈঠকে কথা বলতে গিয়ে পুতিনের থর থর করে হাত কাঁপার ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসে। ওই বৈঠকে অস্বাভাবিক ভাবে পা নাড়াতেও দেখা গিয়েছিল পুতিনকে।
আর তার ফলে বিশ্ব জুড়ে জল্পনা ওঠে, রাশিয়ার একনায়ক গুরুতর অসুস্থ। তখনই একাধিক দাবি ওঠে, তাঁর ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার। যদিও পুতিন কখনও তাঁর ক্যানসার আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেননি।
প্রসঙ্গত, সূত্রের খবর, বাসভবনের সিঁড়ি থেকে নামার সময় আচমকাই পা হড়কে পড়ে যান পুতিন। সিঁড়ির পাঁচ ধাপ পেরিয়ে সটান মাটিতে পড়েন ভ্লাদিমির। সঙ্গে সঙ্গে ছুটে আসেন নিরাপত্তা রক্ষীরা। তখনই পেটে আঘাত লেগে মলত্যাগ করে ফেলেন বলে সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট পড়ে গিয়েছেন দেখেই পিছন পিছন আসেন চিকিৎসকদের দল। পুতিনকে ধরে সোফায় বসানো হয়। কিছু ক্ষণের মধ্যেই তিনি ধাতস্থ হন। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর শরীর খারাপ থাকার তত্ত্ব আরও জোরালো হয়েছে। যদিও রাতের দিকে তিনি সুস্থ বোধ করেন। হাঁটাচলাও শুরু করেছেন। তবে পুতিনের কোমরের কাছে ব্যথা রয়েছে বলেও সূত্রের খবর।