সড়কপথে জুড়বে ইউরোপ আর চিন

রাশিয়ার একটি সংবাদপত্রে সম্প্রতি খবরটি প্রকাশিত হয়েছে। সেই রিপোর্টের রুটম্যাপ বলছে, চিনের ‘ওবর’ প্রকল্পের অন্তর্গত রাস্তাটি জার্মানির হামবুর্গ থেকে পোল্যান্ড, বেলারুস হয়ে রাশিয়ায় ঢুকবে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা 

ক্রেমলিন শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০১৯ ০৩:০৩
Share:

ছবি রয়টার্স।

হামবুর্গ থেকে সাংহাইয়ের দূরত্বটা নেহাত কম নয়। তবু এ বার সড়কপথেই জুড়তে চলেছে ইউরোপ আর এশিয়ার এই দু’টি শহর। তার জন্য রাশিয়ার মধ্য দিয়ে ২০১১ কিলোমিটার সড়কপথ তৈরিতে ছাড়পত্র দিয়েছে ভ্লাদিমির পুতিনের সরকার। শুরু হয়ে গিয়েছে রাস্তা তৈরির কাজও।

Advertisement

রাশিয়ার একটি সংবাদপত্রে সম্প্রতি খবরটি প্রকাশিত হয়েছে। সেই রিপোর্টের রুটম্যাপ বলছে, চিনের ‘ওবর’ প্রকল্পের অন্তর্গত রাস্তাটি জার্মানির হামবুর্গ থেকে পোল্যান্ড, বেলারুস হয়ে রাশিয়ায় ঢুকবে। সেখান থেকে কাজাখস্তান হয়ে প্রবেশ করবে চিনে। তার পর পশ্চিম থেকে পুবে চিনদেশকে আড়াআড়ি ভাবে অতিক্রম করে পৌঁছবে সাংহাই। রাশিয়া দিয়ে যাওয়া রাস্তাটুকু ‘মস্কো বাইপাস’ হিসেবে কাজ করবে। রাশিয়ায় রাস্তার যে অংশটি পড়ছে, তা পশ্চিমে বেলারুসের সীমান্তবর্তী স্মোলেনস্ক শহর থেকে পূর্বে সাগরচিন সীমান্ত চৌকি পর্যন্ত বিস্তৃত। রাশিয়ার এই অঞ্চলটি বাকি দেশের তুলনায় এখনও অনেকটা পিছিয়ে-পড়া। তাই নতুন রাস্তা তৈরি হলে এলাকার সমৃদ্ধি হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

পুরো রাস্তা তৈরিতে খরচ পড়বে প্রায় ৬০ হাজার কোটি রুবল। ভারতীয় মূল্যে যা ৬০ হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি। সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে এই খরচ তোলা হবে। পরবর্তী কালে ইউরোপ ও চিনের মধ্যে যাতায়াতকারী পণ্যবাহী ট্রাকগুলির থেকে প্রাপ্য ‘টোল’-এর মাধ্যমেই এই খরচ উঠে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। এখন ট্রান্স-সাইবেরীয় রেলপথ ও সুয়েজ খালের মাধ্যমে ইউরোপ ও চিনের মধ্যে পণ্যের যাতায়াত চলে। নতুন রাস্তা তৈরি হলে সড়কপথে পণ্য পরিবহণ অনেকটাই সহজ হবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement