গ্রাফিক: সন্দীপন রুইদাস।
বিয়েবাড়িতে ডাক পেলেই যে পেটপুরে খাওয়াদাওয়া আর দেদার ফূর্তি, এমনটা না-ও হতে পারে। বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়ে খাবার তো জুটলই না, উল্টে এঁটো বাসন মাজতে হল বহু অতিথিকেই। বছর তিনেক আগে তাঁর সঙ্গে এমনটাই ঘটেছিল বলে দাবি করলেন এক মহিলা নেটাগরিক। তিন বছর পর নেটমাধ্যমে তাঁর সে অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরতেই তা ভাইরাল হয়েছে।
কোথায় বা কার বিয়েতে গিয়ে এমন অভিজ্ঞতা হয়েছিল ওই মহিলার, তা অবশ্য খোলসা করেননি তিনি। তবে তাঁর দাবি, বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজনে এতটাই খরচ করেছিল নবদম্পতির পরিবার, যে সমস্ত অতিথির জন্য যথেষ্ট খাবারের বন্দোবস্ত পর্যন্ত করতে পারেননি তারা। এমনকি, নববধূর বিয়ের ডিজাইনার পোশাক কিনতেও পকেট ফাঁকা করে দিয়েছিলেন। ফলে বিয়ের ওই অনুষ্ঠানে যে সমস্ত অতিথিরা আগে পৌঁছেছিলেন, শুধুমাত্র তাঁদেরই নাকি খাবার জুটেছিল।
খাবার না পেয়ে ওই মহিলার বয়ফ্রেন্ডও খালি প্লেট হাতে ফিরে আসেন। কেন এমনটা হল, তা জানতে বধূর মায়ের কাছে গেলে ওই মহিলা-সহ ১০ জনকে কিচেনে নিয়ে যান বধূর সঙ্গীসাথীরা। সেখানে ছিল ডাঁই করা এঁটো বাসন। সবই তাঁদের মাজতে হয়েছিল। মহিলার দাবি, অতিথিদের এক-তৃতীয়াংশের জন্যই খাবার ছিল। বাকিদের অভুক্ত থাকতে হয়েছে। যাঁদের খাবার জুটেছিল, তাঁদের এঁটো বাসনই ধুতে হয়েছিল বহু অতিথিকে।
তিন বছর পর ওই দম্পতির ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। ফের বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন সে দিনের ওই বধূ। তবে আমন্ত্রিত হলেও এ বার আর তাঁর বিয়ের অনুষ্ঠানে পা রাখেননি নেটাগরিক মহিলাটি।