কাকার দেহ নিয়ে বিমা অফিসে দুই মহিলা। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।
আত্মীয়র মৃত্যুর পর বিমার টাকা পেতে কাল ঘাম ছুটে যাচ্ছিল। ‘আজ নয়, কাল আসুন, কাল নয় তিন দিন পর দেখা করুন, তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করুন দেখছি’— এ সব বলেই ঘোরাচ্ছিলেন বিমা সংস্থার কর্মীরা। শেষে বিরক্ত হয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন মৃতের দুই আত্মীয়া। কাকার দেহ নিয়ে চলে এলেন বিমার অফিসে।
দক্ষিণ আফ্রিকার কোয়াজুলু-নাটাল প্রদেশের বাসিন্দা সিফিসো জাস্টিস মহলংগো, ‘ওল্ড মিউচুয়াল’ কম্পানিতে কয়েক বছর আগে নিজের নামে একটি বিমা করান। গত সাত নভেম্বর ৪৬ বছর বয়সে তাঁর মৃত্যু হয়। বিমার কথা জানতেন তাঁর পরিবারের লোকেরা। তাই কাকার মৃত্যুর পর টাকা পেতে বিমা কম্পানির স্থানীয় অফিসে যান সিফিসোর দুই ভাইঝি নটম্বেনহেল মহলংগো ও থানদাজা মাতশালি।
কাকার মৃত্যুর চারদিন পর ১১ নভেম্বর ওল্ড মিউচুয়ালের অফিসে গিয়ে সিফিসোর দুই ভাইঝিকে শুনতে হয় ‘৪৮ ঘণ্টা পরে আসুন’। সেই মতো তাঁরা ১৪ নভেম্বর ফের সেখানে যান। কিন্তু তাঁদের আবার বলা হয়, 'পরের দিন আসুন'। পরের দিন আবার বলা হয় 'তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করুন'। এবার ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যায় তাঁদের।
আরও পড়ুন: ইনস্টাগ্রামে বন্দুক হাতে ‘টপলেস’ ছবিই ধরিয়ে দিল মডেলকে
সংবাদপত্র ডেইলি মেল জানাচ্ছে, তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করতে বলার পরই তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন কাকার দেহ নিয়ে আসবেন ওল্ড মিউচুয়ালের অফিসে। দেখাবেন, কাকা সত্যিই মারা গিয়েছেন কি না। সেই মতো তাঁরা গাড়িতে করে দেহ নিয়ে পৌঁছে যান ওই অফিসে।
আরও পড়ুন: ক্যামেরার সামনে এই মহিলা খুলছেন একটির পর একটি, মোট ৮টি জিন্স
এতদিন ধরে বিমা অফিসের যে কর্মীরা গড়িমসি করছিলেন, তাঁরা বুঝতে পারেন পরিস্থিতি হাতের বাইরে যেতে পারে। তাই তাঁরা আর ঝুঁকি নেননি। বিমার টাকা মিটিয়ে দেন। বিমার টাকা ও কাকার দেহ নিয়ে দুই মহিলা বাড়ি ফিরে যান।
এই ঘটনার একটি ভিডিয়ো রেকর্ড করে টুইটারে আপলোড করা হয়। ১৯ নভেম্বর পোস্ট করা এই ভিডিয়ো তিন লক্ষ ২৮ হাজারের বেশি বার দেখা হয়েছে।
দেখুন সেই ভিডিয়ো:
টুইটার এমন ঘটনা সামনে আসার পর দক্ষিণ আফ্রিকার প্রচুর মানুষ ওল্ড মিউচুয়ালে বিরুদ্ধে তাঁদের খারাপ অভিজ্ঞতার কথা বলেন। অনেকেই অভিযোগ করেছেন, এই কম্পানি টাকা দিতে চায় না। এই কম্পানির সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করুন। যদিও কম্পানির তরফে ওই টুইটে রিপ্লাই করে বলা হয়, কিছু সমস্যা হয়েছিল। কিন্তু তারা টাকা মিটিয়ে দিয়েছে।