স্মৃতিসৌধে দাঁড়িয়ে অভিজিত্। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।
একটু অন্যরকম কিছু করতে গিয়ে জেলে যাওয়ার উপক্রম হল মহারাষ্ট্রের এক যুবকের। মহারাষ্ট্র থেকে ভুটানে গিয়ে গ্রেফতারের মুখে পড়েন ওই বাইকার। মুচলেকা দিয়ে কোনও মতে ছাড়া পান তিনি।
১৫ বাইকারের একটি দল সম্প্রতি মহারাষ্ট্র থেকে ভুটানের ডোকুলা পাস-এ যান। সেখানে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য কিছুক্ষণ থামেন তাঁরা। বাইকারদের মধ্যে একজন,অভিজিত্ রতন হাজারের অন্যরকম কিছু করার ইচ্ছে জাগে।
ভুটানের এক সংবাদপত্রের টুইটার হ্যান্ডেলে একটি ভিডিয়ো পোস্ট হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, অভিজিত্ একটি কাঠের সিঁড়ি বেয়ে একটি ছোট্ট সৌধের উপর উঠছেন। সেখানে দাঁড়িয়ে পোজ দিতেও দেখা যায় তাঁকে। এই ভিডিয়োর পাশাপাশি কিছু ছবিও পোস্ট হয়েছে। এগুলি প্রকাশ্যে আসতেই ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন মহলে। বিষয়টি নজরে আসতেই তত্পর হয় রয়্যাল ভুটান পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয় অভিজিতকে।
আরও পড়ুন : এত বড় কিং কোবরাকে ধরার ভিডিয়ো দেখেছেন কোনও দিন?
জানা গিয়েছে, যে ব্যক্তি ওই সিঁড়িটি ধরে দাঁড়িয়ে ছিলেন, তিনি স্থানীয় কাঠের মিস্ত্রি। সেই সময় তিনি সেখানে মেরামতির কাজ করছিলেন। আর অভিজিত্ যার উপর উঠে পোজ দিয়ে ছবি তুলেছিলেন, সেগুলি ভুটানের এক স্মৃতি সৌধ।
আরও পড়ুন : এমন দয়ালু ডাকাত দেখেছেন, লুঠ করতে এসে বৃদ্ধার কপালে চুমু খেয়ে গেল!
ডোকুলা পাস এই সৌধগুলির জন্যই বিখ্যাত। এখানে এমন ১০৮টি সৌধ রয়েছে, যেগুলিকে বলা হয় ড্রুক ওয়াঙ্গিয়াল কর্টেনস। এই সৌধগুলি ভুটান রয়্যাল আর্মির ১০৮ সেনারস্মৃতিতে বানানো হয়। অসমের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে দক্ষিণ ভুটানের এই অংশ লড়াই হয় ভুটান রয়্যাল আর্মির। ২০০৩-এর ডিসেম্বর থেকে তিন জানুয়ারি ২০০৪ পর্যন্ত সংঘর্ষ চলে। তাতেই মৃত্যু হয় ভুটান রয়্যাল আর্মির ১০৮ জওয়ানের।
এই সৌধগুলির একটিতেই উঠে পড়েন অভিজিত্। পরে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের সময় বিষয়টি নিয়ে তিনি ক্ষমা চান। সেই সঙ্গে লিখিত ভাবে দুঃখ প্রকাশও করেন তিনি। তারপরই ছাড়া হয় অভিজিতকে।
ভুটানের এক সংবাদপত্রের টুইটার হ্যান্ডলের সেই পোস্ট: