যুদ্ধে যাবেন রাজকন্যে! কঠোর সামরিক প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন প্রিন্সেস অব বেলজিয়াম
বেলজিয়ামের সিংহাসনের ভবিষ্যতের দাবিদার এলিজাবেথদের ট্রেনিং চলছে বুটজেনব্যাকে এলসেনবর্ন বেলজিয়ান আর্মি ক্যাম্পে। ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, সামরিক পোশাক পরে গাড়ির টায়ার নিয়ে দৌড় বা অন্যান্য কসরত করছেন এলিজাবেথ।
Advertisement
সংবাদ সংস্থা
ব্রাসেলসশেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০ ২০:৫৯
Share:
বেলজিয়ামের ক্রাউন প্রিন্সেস এলিজাবেথ। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নেওয়া ছবি।
অনেক দেশেই আজও রাজা-রানির অস্তিত্ব রয়েছে, বেলজিয়ামও তাদের মধ্যে একটি। ইউরোপের এই দেশটিতে রাজকুমার, রাজকুমারীরা সামরিক প্রশিক্ষণও নেন। সেই মতো বেলজিয়ামের ক্রাউন প্রিন্সেস এলিজাবেথও যোগ দিয়েছেন সামরিক ক্যাম্পে। আর তারই কিছু ছবি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। আর সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন উপাদন স্বাভাবিক ভাবেই ভাইরাল হতে সময় নেয়নি।
Advertisement
সেপ্টেম্বরের গোড়াতেই শুরু হয়েছে এই সামরিক প্রশিক্ষণ শিবির, চলবে চার সপ্তাহ। আষ্টাদশী এলিজাবেথ ছাড়াও ১৭০ জন অংশ নিয়েছেন এই প্রশিক্ষণে। যাঁরা সফল ভাবে এই প্রশিক্ষণ পর্ব শেষ করতে পারবেন, ২৫ সেপ্টেম্বর এক অনুষ্ঠানে তাঁদের মাথায় উঠবে নীল রঙের বিশেষ সাম্মানিক টুপি।
বেলজিয়ামের সিংহাসনের ভবিষ্যতের দাবিদার এলিজাবেথদের ট্রেনিং চলছে বুটজেনব্যাকে এলসেনবর্ন বেলজিয়ান আর্মি ক্যাম্পে। ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, অন্যান্য শিক্ষানবিশের মতোই সামরিক পোশাক পরে গাড়ির টায়ার নিয়ে দৌড় বা অন্যান্য কসরত করছেন এলিজাবেথ।
এই ক্যাম্পে এলিজাবেথরা নানা সাহসিকতার পরীক্ষা দেবেন। তাঁদের শুটিং, কুচকাওয়াজ, ছদ্মবেশে লুকিয়ে থাকার মতো কৌশলও শেখানো হবে। এই প্রশিক্ষণের মধ্যে ক্রাউন প্রিন্সেস সামরিক বাহিনীর গুরুত্ব, অনুশাসন, পারস্পরিক শ্রদ্ধা, দায়িত্ব নেওয়ারও পাঠ পাবেন।
এলিজাবেথ ওয়েলসের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে স্নাতক ডিগ্রি পান। এখন তিনি ব্রাসেলসের রয়্যাল মিলিটারি অ্যাকাডেমিতে সোশ্যাল অ্যান্ড মিলিটারি সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করছেন। তাঁর বাবা কিং ফিলিপও ১৯৭৮ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত এই অ্যাকাডেমিতে সামরিক পাঠ নেন।
সামরিক ক্যাম্পে এলিজাবেথদের প্রশিক্ষকের দায়িত্বে থাকা মেজর ইসাবেল জানিয়েছেন, রাজকুমারী তাঁদের কাছে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন এটা যেমন তাঁদের কাছে সম্মান ও গর্বের বিষয়, পাশাপাশি এটাও ঠিক যে, এলিজাবেথকে অন্য শিক্ষানবিশদের থেকে আলাদা করে দেখা হচ্ছে না। অন্যদের মতোই তাঁকে কঠিন পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে।