বোহেড তিমি। ছবি: উইকিপিডিয়া থেকে নেওয়া।
ব্রিটিশরা যখন ভারতে এসেছিল, তখন যে তিমিটি জন্মেছিল, হতে পারে সে আজও বেঁচে আছে। ব্রিটিশরা প্রায় ২০০ বছর শাসন করার পর আমাদের দেশ আজ প্রায় ৭২ বছর স্বাধীন হয়ে গিয়েছে। আর সেই সব সময়ের ‘সাক্ষী’ হয়ে সমুদ্রের গভীরে আজও ঘুরে বেড়াচ্ছে একটি ‘প্রাচীন’ তিমি।
একদল বিজ্ঞানী দাবি করেছেন, পৃথিবীর কোনও সমুদ্রে হয়তো পাওয়া যেতে পারে ২৬৮ বছর বয়সের কোনও তিমি। সম্প্রতি একটি গবেষণায় বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, বেশ কিছু প্রাণী যতদিন বাঁচার কথা তার থেকেও বেশি দিন বাঁচে। সেই গবেষণাতেই বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, বোহেড (ধনুকের মতো মাথা) তিমিরা প্রায় ২৬৮ বছর বাঁচতে পারে। বোহেড তিমিরা আর্কটিক এলাকায় বসবাস করে।
এখনও পর্যন্ত যদিও ১৭৫১ সালের কোনও তিমি খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে ২০০৭ সালে একটি তিমি পাওয়া গিয়েছিল যেটির বয়স ছিল ২০০ বছর।এছাড়াও একটি বোহেড তিমি পাওয়া গিয়েছিল, যেটির বয়স ছিল ২১১ বছর। তার চোখের জলের অ্যামাইনো অ্যাসিড থেকে বয়স নির্ণয় করা হয়।
অস্ট্রেলিয়ার একদল বিজ্ঞানী জেনেটিক ‘ক্লক’ ব্যবহার করে হিসেব করে দেখেছেন, যে তিমিটির বয়স ২১১ বছর ছিল, সেটি আরও অন্তত ৬০ বছর বাঁচতে পারে।
আরও পড়ুন: সমুদ্র থেকে যেন লাফিয়ে উঠছে বিশাল একটি পাহাড়! ভাইরাল এক তিমির ভিডিয়ো
অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরায় কমনওয়েল্থ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ অর্গানাইজেশনের বিজ্ঞানী বেঞ্জামিন মেনে জানিয়েছেন, ৪২টি জিন ও একটি রাসায়নিক পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে এই বয়স নির্ণয়ের কাজে, যাকে বলা হয় মিথিলেশন। এই পদ্ধতিতে কোনও প্রাণীর জীবনকাল কত হতে পারে তা নির্ণয় করা যায়। সেখানেই তাঁরা দেখেছেন একটি বোহেড তিমি প্রায় ২৬৮ বছর বাঁচতে পারে।
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের ক্যামেরায় ২০০ বছরে বোহেড তিমি:
ড্রোন থেকে তোলা বোহেড তিমির ভিডিয়ো: