লাভা থেকে তৈরি হওয়া ভাসমান পাথর হাতে মাইকেল। ছবি : সংগৃহীত।
নির্দিষ্ট পথ ধরে ইয়টে করে টোঙ্গার ভাভাউ দ্বীপের দিক থেকে যাচ্ছিলেন ফিজির দিকে। কিন্তু দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে হঠাত্ লক্ষ লক্ষ পাথর ভেসে বেড়াতে দেখলেন দুই অস্ট্রেলিয়। যেন সেই পাথরগুলি তাঁদের ইয়টটিকে ঘিরে ধরেছে। সমুদ্রের মাঝে এভাবে ভাসমান পাথর দেখে অবাক হয়ে যান তাঁরা। বেশ কয়েকটি পাথর জল থেকে তোলেন। এর মধ্যে কয়েকটির আকার ছিল ফুটবলের মতো। সেগুলির ছবিও তুলে রাখেন।
আসলে এগুলি আগ্নেয়গিরির লাভা জমাট বেঁধে তৈরি হওয়া পাথর। যখন অগ্নুত্পাত হয় তখন লাভার সঙ্গে প্রচুর পরিমানে গ্যাস ও ছাই বেরিয়ে আসে। সেই সব গ্যাস গাঢ় লাভার ভেতর থেকে বুদবুদ আকারে আস্তে আস্তে বেরিয়ে আসে। কিন্তু সেই লাভা যদি জলের সংস্পর্শে এসে দ্রুত জমাট বেঁধে যায় সেক্ষেত্রে গ্যাস বেরিয়ে আসার সুযোগ পায় না। তখন ভেতরেই রয়ে যায় সেই সব গ্যাস। ফলে আমাদের পরিচিত ঝামা ইটের মতো হয়ে যায়। তবে ঝামা ইটের ভেতর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ছিদ্রের মধ্যে যত হাওয়া থাকে, এক্ষেত্রে লাভা জমাট বাঁধা পাথরের ভেতরে গ্যাসের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। ফলে এই ধরনের পাথরের সার্বিক ঘনত্ব কমে যায়। তাই সেগুলি জলেও ভাসতে পারে। এমনই পাথর দেখতে পেয়েছিলেন ওই দুই অস্ট্রেলিয় মাইকেল ও লরিসা হল্ট।
মাইকেল ও লরিসা যে পাথরগুলি দেখেছিলেন সেগুলির প্রায় ম্যানহাটন শহরের মতো জায়গা জুড়ে ছড়িয়েছিল। যেখানে প্রায় ২০ হাজার প্রমাণ সাইজের ফুটবল মাঠ ধরে যাবে। তাঁরা ভেবেছিলেন এই পাথরগুলির মধ্যে গাড়ির আকারের পাথরও থাকতে পারে। কিন্তু তাঁরা সর্বোচ্চ একটি ফুটবলের আকারের পাথরই দেখতে পান। পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য তাঁরা কয়েকটি পাথর সংগ্রহও করেন।
আরও পড়ুন : চুম্বন মেলানিয়া-ট্রুডোর, মাথা নিচু ট্রাম্পের, টিপ্পনি সোশ্যাল মিডিয়ায়
আরও পড়ুন : চোরের উপর বাটপাড়ি, চোরের গাড়ি চুরি করলে পালাল আর এক চোর!
মাইকেল ও লরিসা তাঁদের অভিজ্ঞতার কাথা শোনাতে গিয়ে বলেন, এক সময় তাঁরা দেখেন পুরোপুরি এই ভাসমান পাথরের ঘিরে রয়েছেন তাঁরা। আর সেই এলাকা থেকে সালফারের গন্ধ বেরচ্ছে।
নাসার স্যাটেলাইটেও এই পাথরগুলির ছবি ধরা পড়েছে। নাসার টেরা স্যাটেলাইট ৯ অগস্ট আটটি ছবি তোলে। যে ছবিগুলি দেখাচ্ছে এই পাথরগুলি টোঙ্গার লেট দ্বীপের কাছে ভেসে বেড়াচ্ছে।