ছবি: শাটারস্টক
পৃথিবীতে হাজারো রং রয়েছে, তাও বিশ্বজুড়ে পাসপোর্ট হয় মাত্র চার রঙের। যে কোনও দেশের পাসপোর্টের রং হয় কালো, নীল, সবুজ অথবা লাল রঙের। কেন জানেন?
কোনও দেশের পাসপোর্টের রং কী হবে, তার নির্দিষ্ট কোনও নির্দেশিকা নেই। যে কোনও দেশ যে কোনও রঙের পাসপোর্ট তৈরি করতে পারে। তবুও কেবল কালো, নীল, সবুজ, লালের বিভিন্ন শেডের পাসপোর্টই হয়।
এই চার রঙের পাসপোর্ট হওয়ার পিছনে কয়েকটি কারণ রয়েছে। এই রংগুলি গাঢ়, তাই পাসপোর্ট ময়লা হলেও তা সহজে চোখে পড়ে না। এই রঙের পাসপোর্টগুলি বেশি অফিসিয়াল দেখায়, তাই গোলাপির মতো রং দিয়ে পাসপোর্ট তৈরি হয় না।
আরও পড়ুন : ‘গরুর থেকে নারীদের দিকে বেশি নজর দিন’, প্রধানমন্ত্রীকে বার্তা মিস কোহিমা প্রতিযোগীর
এই চার রঙের মধ্যে থেকে কোন দেশ কোন রং বাছবে তা সেই দেশের উপরই নির্ভর করে। কয়েকটি বিষয় মাথায় রেখে এই রং বাছাই হয়। যেমন, বেশিরভাগ মুসলিম দেশ সবুজ রঙের পাসপোর্ট ব্যবহার করে। এছাড়াও সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিকগুরুত্ব মেনে বিভিন্ন দেশ তাদের পাসপোর্টের রং নির্ধারণ করে। যেমন লাল রঙের বিভিন্ন শেডের পাসপোর্ট ব্যবহার করে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দেশগুলি। আবার ভারতে সাধারণ মানুষের জন্য গাঢ় নীল রঙের পাসপোর্ট তৈরি হয়। তবে ভারতের কূটনৈতিক পাসপোর্টের রং লাল।
আরও পড়ুন : কবর থেকে ভেসে আসছে চিত্কার, ‘এখানে অন্ধকার আমাকে বার করো’
রঙের ক্ষেত্রে কোনও বাধ্যবাধকতা না থাকলেও পাসপোর্ট তৈরির ক্ষেত্রে কয়েকটি নিয়ম রয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, পাসপোর্ট এমন উপাদানে তৈরি করতে হবে, যাতে ভাঁজ হলে, কোনও রাসায়নিকের প্রভাবে সহজে নষ্ট না হয়। এমনকি অতিরিক্ত আর্দ্রতা, তাপমাত্রা বা আলোর প্রভাবে খারাপ না হয়ে যায়, সেদিকেও বিশেষ নজর দেওয়া হয়।
একটি অনলাইন ম্যাগাজিন ‘মেন্টাল ফ্লস’-এর মতে, ইন্টারন্যাশনাল সিভিল অ্যাভিয়েশন অর্গানাইজেশন (আইসিএও) পাসপোর্টের ছাপার অক্ষরগুলির টাইফেস, সাইজ, ফন্ট কী হবে তা নিয়ে একটি সুপারিশ দিয়েছিল।