এলিডি ভ্লাগ। ছবি ইনস্টাগ্রাম থেকে নেওয়া।
আট বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল তাঁদের। সন্তান ধারণের চিন্তাভাবনা করছেন তখনই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় প্রেমিকের। সম্প্রতি প্রেমিকা দাবি করেছেন, প্রেমিকের মৃত্যুর পরই তাঁর দেহ থেকে শুক্রাণু সংগ্রহ করে রেখেছিলেন তিনি। সেই শুক্রাণুর সাহায্যেই ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন (আইভিএফ) পদ্ধতিতে অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন তিনি। আগামী অক্টোবরে নাকি জন্মও নেবে তাঁদের সেই সন্তান।
মৃত প্রেমিকের দেহ থেকে শুক্রাণু নিয়ে অন্তঃসত্ত্বা হওয়া ওই যুবতীর নাম এলিডি ভ্লাগ। তিনি অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত অলিম্পিয়ান অ্যালেক্স পুলিনের বান্ধবী ছিলেন। অ্যালেক্স দু’বার ওয়ার্ল্ড স্নোবোর্ড চ্যাম্পিয়নশিপও জিতেছেন। কিন্তু গত বছর জুলাইয়ে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় তাঁর।
অ্যালেক্স পুলিন এবং এলিডি ভ্লাগ। ছবি ইনস্টাগ্রাম থেকে নেওয়া।
মৃত্যুর আগে দীর্ঘ ৮ বছর সম্পর্ক ছিল অ্যালেক্স এবং এলিডির। গত বছরই অ্যালেক্সের কাছে মা হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন তিনি। তার কিছু দিন পরই ঘটে দুর্ঘটনা। এই দুর্ঘটনায় মৃত্যুর পর অ্যালেক্সের শরীর থেকে শুক্রাণু সংগ্রহ করে রেখেছিলেন এলিডি। তার সাহায্যেই মা হতে চলেছেন তিনি।
সম্প্রতি এক ইনস্টাগ্রাম পোস্টে এলিডি নিজের বেবি বাম্পের ছবি শেয়ার করেছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘বুব্বা চ্যাম্প তুমি অক্টোবরে আসছো। তোমার বাবা এবং আমি বহু বছর ধরে তোমাকে পৃথিবীতে আনার স্বপ্ন দেখেছি। সেই স্বপ্ন হঠাৎ অনিশ্চয়তা তৈরি করেছিল দুর্ঘটনা। চাম্পি তুমি আবার পৃথিবীতে ফিরে আসছো। এ রকম উত্তেজনা আমার আগে কখনও হয়নি।’ এর সঙ্গে আইভিএফ পদ্ধতির কথাও পোস্টে জানিয়েছেন তিনি।
জানা গিয়েছে, কুইন্সল্যান্ডের আইন অনুসারে, কোনও ব্যক্তির মৃত্যুর ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে তাঁর দেহ থেকে শুক্রাণু সংগ্রহ করা যায়।